ধীরে-ধীরে শরীর হয়ে পড়লো অচল,
সে এক অসহ্য যন্ত্রণা বুকের মাঝে!

তারপর দেখি আকাশ পথ থেকে অবতীর্ণ
হয়ে নেমে আসলো যেন এক বিকৃত দানব,
তাকে দেখে ভয়ে থর-থর করে কেঁপে গেল মোর অন্তর
দেহ থেকে পলকের মধ্যে বের করে নিলো প্রাণ!

পৃথিবীর থেকে ভিন্ন সে জগতের অবস্থান
দুজন কদাকার চেহারার দানব এসে,
লোহার বেড়ী পরিয়ে আমায় নিয়ে গেল গগন মার্গে
যাবার সময় চোখে পড়লো ভয়াবহ দৃশ্য।

এ কি,
এ-তো নরক!
কালো অগ্নিকুণ্ডের লেলিহান গর্জন করে বলে-
কোথায় ওই সব মানব?
যারা ধরণীর বুকে করেছে বহু অপকর্ম
আমার পেটে যে আজ অনেক ক্ষুধা,
আমার অগ্নিগর্ভে নিক্ষেপ করলেই মিটবে জ্বালা
সেখানে শুনতে পেলাম নর-নারীর চিৎকার!
আগে কখনো দেখিনি এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য
বেদনাময় শাস্তি দেখে আমার হৃদয় কেঁপে উঠলো।

তারপর দেখলাম স্বর্গ,
সেখানকার এতো শান্তি আর সমৃদ্ধি দেখে;
আমি মুগ্ধ হয়ে অনুভব করলাম সেই অনন্দ।

অবশেষে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল
বহু প্রশ্নের উদয় হলো মনের নধ্যে,
আমি এ কি দেখলাম?
তবেকি এটা ছিল শুধু দুঃস্বন্ন?
নাকি আগামী মৃত্যুর পূর্বাভাস!

একদিন রঙ্গিন জগদ্বাসী ছেড়ে চিরতরে চলে যাব
সেদিন বিরহে কাতর হবে সকলের মন!
আমার ছবির ওপর পুস্প প্রদান করে
সেদিন সবাই পাঁচ মিনিট নীরবতা পালন করবে।

তবুও আমি বেঁচে থাকব তোমাদের মাঝে
অনন্তকাল অক্ষত থাকবে আমার কবিতা,
যে কবিতা পথ ভুলে যাওয়া মানুষকে
টেনে আনবে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে;
সাহায্য করবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার
সেদিন তোমাদের মাঝে থাকব আমি চির অমর।


রচনাকালঃ- ১১/১১/২০১৬