সেদিনের মিছিলে দেখেছি একটি মুখ,
মুষ্ঠিবদ্ধ শক্ত হাত আকাশের দিকে
শিরের কেশ শিখার বাতাসে কম্পমান,
জনগণের ভিড়ের মধ্যে মিশে গেলেও
সূর্যের মত জ্বলে ওঠে মিছিলের সেই মুখ।

কিছুক্ষণ পরে সভা শেষ হতেই-
ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতার ভিড়,
সকলের হাত নেমে আসে মাটির দিকে।
প্রবল কোলাহলে মানুষের পায়ে পায়ে
কোথায় যেন হারিয়ে যায় মিছিলের সেই মুখ!
কোথাও ভিড় দেখলে থমকে দাঁড়ায়;
যদি খুঁজে পাই হারানো মুখ।

ভিন্ন ভিন্ন মুখোশের আড়ালে মানুষ!
নেই স্বচ্ছ্ব মনে প্রতিবাদের ক্ষমতা,
তাদের হাত উঠে থাকেনা আকাশের দিকে
ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ সমুদ্রে জ্বলে ওঠে না সূর্যের মত তাদের মুখ,
বারংবার আমাকে টেনে নিয়ে যায়
সমুদ্রের স্বপ্নের মত মিছিলের সেই মুখ।

অর্থ প্রাচুর্যের লোভে অন্য সব মুখগুলো
বিকৃত মিথ্যে দিয়ে সত্যকে চেপে রাখে,
নিজের অপরাধ লুকাবার জন্যে
অন্যের মস্তকে চাপিয়ে দেয়া দোষ!
পচা লাশের দুর্গন্ধ ওড়াতে লাগায় সুগন্ধি আতর!
তখন চুপ থাকা ওই প্রতিবাদী মুখ
ধারালো তরবারির মত গর্জে উঠে আমাকে জাগায়!

অন্ধকারে সবার হাতের তালুতে গুঁজে দিই
একটি করে নিষিদ্ধ ইস্তাহার,
ডাক দিই দাসত্বের শিকল ছিড়ে
ফাটল ধরা দেয়াল ভেঙে দিবার জন্য;
যাতে নবরূপে জেগে ওঠে মিছিলের সেই মুখ;
তবেই হবে এই দেশ শৃঙ্খলমুক্ত।


রচনাকালঃ- ১৯/০৩/২০১৯