হটাৎ পেলাম নীল জ্যোৎস্নার ইশারা,
আঁধারের মাঝে জ্বলছে ছোট-ছোট মশাল,
আর সূর্যের আলোয় দিন যেন অসহ্য।

নিঃশব্দ সময়ের সেই কঠিন পদক্ষেপ
বুঝিয়ে দিল পৃথিবীর বুকে বিপদের ছায়া,
তাই রণক্ষেত্র থেকে ডাক এল্
বিদ্রোহের ডাক!
কলঙ্কিত সভ্যতা এসে বলে গেল
এবার সময় এসেছে দিন বদলাবার।
নিমেষে নেমে এল আঁধার ধরণীর জমিনে
জনতার প্রবল দুঃখের জোয়ারে,
রাতের স্তব্ধতায় বিচলিত মনের মাঝে;
আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড আঘাত করে গেল!

বসুধার বাতাবরণ হয়েছে দূষিত!
মৃত্তিকা চিৎকার করে বলে গেল,
আমি মুক্তি চাই, চির মুক্তি!
এ-কী সেই মানব?
যাদের বহুকাল পুর্বে নিয়তি রচনা করেছিল;
এ-কী সেই মানব?
যারা প্রেম ভুলে জ্বেলেছে প্রতিহিংসার অনল!

আমার প্রবল প্রতিবাদ,
পাপীদের মনে আঘাত হানে!
দূর্গম পথ চলতে কখনো হইনি ক্লান্ত,
অত্যাচারী শাসকের সম্মুখে হইনি দুর্বল।
জানি, আজীবন করে যেতে হবে বিক্ষোভ
এই নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে,
দিয়ে গেল নীল জ্যোৎস্না ইশারা
ডেকে গেল রণক্ষেত্রের বিষাক্ত মৃত্তিকা;
দেখি দিনের শেষে মানবের নয়নে মৃত্যুভয়!
যে নোংরা রাজনীতি একদিন বুনেছিল
সাম্প্রদায়ীকতার ঘন জাল,
সে সব মুহূর্ত আজও অস্পষ্ট দিনের শেষে
শত-শত প্রাণ বলির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


রচনাকালঃ- ১৯/০১/২০১৯