গ্রামের ওই মেঠো পথে
সবুজ ক্ষেতের নেই শেষ,
শিতল পবনে দুলে কার
ঢেউ খেলানো মাথার কেশ।
সর্ষের জমিতে উড়ে আসে
সারি বেধে প্রজাপতির ঝাঁক,
বসন্তের আগমনে শোনা যায়
কোকিল পাখির সুমধুর ডাক।
দল বেধে বক এসে
সেখানে গাঁথে বনফুলের মালা,
গ্রীষ্ম কালে জোনাকি পোকা
এঁদোয় জ্বালে মানিক আলা।
তারি মাঝে গজিয়ে ওঠে
নব সবুজ ধানের চারা,
মাতৃকার আঁচলের ছায়া পেয়ে
যেন ধন্য সতেজ ধারা।
কনক ভূমিতে গজায় ফসল
চাষীদের আনন্দে দিন কাটে,
হরেক রকম শস্য ভান্ডার
বসে এই গ্রামের হাটে।
শিশু শাল সেগুন বৃক্ষে
ঘেরা অরণ্য দেয় ছায়া,
আম জাম কাঠাল ফল
ফুলে প্রাণে জাগে মায়া।
আলো ছায়ার লহর খেলে
যায় কাঁচা পাতার ফাঁকে,
সূর্যের জ্যোতি লুকোচুরি করে
আকাশ ছাওয়া মেঘের বাঁকে।
গাঙের তটে গ্রীষ্ম কালে
জেগে ওঠে বালুর চর,
সন্ধ্যা নামলে ফিরে আসে
সুবাস ভরা কুঞ্জে খেচর।
হরিত্ গহনের কচি পত্র
দুলে হিমেল হাওয়ার সুরে,
শৃঙ্গী ঘেঁষে ঝর্ণা নামে
ঐ দেখা যায় দূরে।
রচনাকালঃ- ২৫/০৩/২০১৯