আমি যদি প্রকৃতি হতাম
আর তুমি হতে যদি হরিণী।
তবে শীতের প্রথম পরশ মাখা বিকেলে,
কোন এক সবুজ মাঠের প্রান্তে;
ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত শর্ষের ক্ষেতে;
স্নিগ্ধ গোধূলি লগ্নে তোমার হাত ধরে
সেই নির্জন স্থানে ছুটে যেতাম।
তোমার প্রতীক্ষিত নয়নের পানে চেয়ে,
কোমল হস্তে রক্তিম গোলাপ দিয়ে
বলতাম না বলা সেই কথা;
তুমি লজ্জায় মুখ লুকিয়ে নিতে আঁচলের আড়ালে!
নিমেষে মিলে মিশে একাকার হত দুটি মন।
ঝরে পড়ত অজস্র সুগন্ধি বনফুল্
লতাপাতার ফাঁকে থাকা নীড় থেকে
বিহঙ্গরা কিচিমিচি শব্দে গায়তো গান;
ময়ুর তার পেখম মেলে জানাত স্বাগত;
আমাদের দিশাহীন আনন্দের বর্ষণে
কেঁপে উঠতো দ্যুলক!
আমাদের নয়নে উল্লাশের ছায়া
আমাদের কন্ঠে বেজে উঠতো গান।
হয়তো গা ভাসিয়ে দিতাম জ্যোৎস্নার আলোয়
হয়তো অপূর্ণ তৃষ্ণা মিটতো পূর্ণিমা রাতে,
একটা দীর্ঘশ্বাসের পর ছেয়ে যেত স্তব্ধতা
ধীরে-ধীরে নেমে আসতো তৃপ্তিময় শান্তি;
তবে আমাদের জীবনে শূন্যতা আর থাকত না!
থাকত না প্রণয়ে ব্যর্থতার কোন কষ্ট!
তবে চিরতরে ঘুচে যেত জীবনের অন্ধকার।
আমি যদি প্রকৃতি হতাম
আর তুমি হতে যদি হরিণী!
রচনাকালঃ- ০৪/০১/২০১৯