ডুব দাও গঙ্গা জলে তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উঠে এসো
ফুল বেলপাতা করজোড়ে নাও; শ্রীপঞ্চমী এলো সন্নিকটে
পুজোর বেদীতে শ্বেত কড়ি ফুল দাও, এক ফোঁটা মন দাও

একগুচ্ছ প্রেম দাও, একমুষ্টি হাসি দাও, চোখ দুটো বন্ধ
দেখতে পাচ্ছ কি জ্যোতির্ময়ী আভা? গভীরে প্রবেশ কর ধীরে,
বীণার ঝংকার এবার শুনতে পাচ্ছ? কি গভীর নিনাদিতো
তৃতীয় চোখের পর্দা খুলে গেলে অপলক চেয়ে থেকো তুমি।

শ্বেতাঙ্গ লাবণী সৌম্যের নিকটে প্রার্থনায় বিদ্যা জ্ঞান চাও,
হংসের মতোই সাঁতরে নদীর কাছে যাও, শুদ্ধ হয়ে যাও,
বুদ্ধ হয়ে যাও, ভাঙা তরী বাও, ফিরে যদি চাও, ভুলে যাও;

শ্রীপঞ্চমী এলো বলে মাথা নত কর রাঙা পায় শুদ্ধ মনে
বিশালাক্ষী তুমি, জ্যোতির্ময়ী তুমি, প্রাণে সাড়া দাও, এসো কাছে।



* এখানে হংস কথাটির অর্থ হাঁস নয়। বরং আধ্যাত্মিক সাধনার উচ্চতর অবস্থার কথা বলা হয়েছে।