চলো চলো ভাই দু-ক্রোশ দূরে
তুমি চলো দেখবে কালো মেয়ে
যেথায় ছায়াঘেরা বনে আছে
সোনার হরিণীর কায়া মেখে
বট বৃক্ষ মূলে আকাশ পানে
খুঁজেছো বলো কারে? দেখ চেয়ে।
কালো বলে তারে ডাকে সকলে
সে যে ভুবন রাঙায় আলোতে
আমরা চিনিব কেমনে তারে
কভু যদি তার দয়া না মেলে,
অন্তর যার জাগিছে ক্ষণেতে
সেইতো পায় আমার মায়েরে।
ঠাকুরবাড়ি পবিত্র এ ধাম
দিবানিশি জপেছি তোর নাম
ভক্ত পদচিহ্নে উঠেছে মেতে
এসো ভাই ডাক মা মা মা বলে
শূন্যরূপা দেখো চেয়ে আছেন
সত্যবান সত্যরূপা পাবেন।
ধ্যানে জ্ঞানে সম্মুখে তার নামে
দিবারাত্র জপ-তপ যজ্ঞেতে
নিজেরই দেই সঁপে মা মা বলে,
যেমনভাবে মা মা বলে ডেকে
সত্যবতী দিয়েছিল নিজেকে
অর্পণ করে মায়ের পায়ে তে।
ঠাকুরবাড়ির মা তুমি কালী
অধমেরে শূন্য করে দে খালি,
আজ তোর দুয়ারে সিদ্ধেশ্বরী
মাগো তোর চরণ তরি ধরি।
০৩.০১.১৪২৯ বঙ্গাব্দ
*** রাণী সত্যবতি প্রতিষ্ঠিত ঠাকুরবাড়ি এই ঐতিহাসিক স্থানটি কুড়িগ্রামের উলিপুরের ধামশ্রেণী নামক জায়গায় অবস্থিত।