স্রক চন্দনে সজ্জিত রসহীন দেহে
লুব্ধ কবিতার মতো শুভ্র বৃষ্টি পড়ে।
পরশ পাথরে ছুঁয়ে দেয় ম্লান লীন
চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাবেন।।
মেঘের মতন মেয়ে ফিরে ফিরে চায়
রুপোর গড়ন দেহে তিলেক সন্ধ্যায়।
লোলুপ বেদীতে শ্বেত রক্ত কণিকার
ফুল ফুটাতে পারবে ব্যক্ত কবিতার।।
ভষ্মধুম্র আকাশের শোভা পাচ্ছে বেশ!
চণ্ডাল দাঁড়িয়ে নগ্ন পদে, পোড়া বাঁশ।
বিভৎস চিৎকার রাত্রি যখন গভীর
চারদিকে অন্ধকার মড়ার হুংকার।।
নীলিমার চোখ ঘুমে অচেতন হয়ে
হিসাবের খাতা খুলে ছুটে চলে আসে।
পকেটে বায়না ধরে কুহক শপথ
অদ্ভুত সময়ে খুঁজে নিজের বিপথ।।
লাবণ্য মিশিয়ে খুব আগুনে ঢেলেছি
জয় পরাজয় মেনে বৃথাই চলেছি।
প্রবাহ সলিল ঢ়ের জীবনের গান
পুঁথির পাতায় গেঁথে রেখেছি অম্লান।।
হলাহল পান করে জাগ্রত হৃদয়ে
নিঃসঙ্গ পাথার বেয়ে গেছি ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
দেয়ালে স্মৃতির ফটো জলরঙ আঁকা
ধূপের ধোঁয়ায় উড়ে জীবনের গাঁথা।।