দুটি সিঁড়ি মাটি থেকে এক্কেবারেই স্বর্গে গিয়ে ঠেকেছে
একটি শূন্যের গান গায় মাথা ঠেকিয়ে রাখতে পছন্দ করে
অপরটি, তৃষ্ণা মেটাতে অস্থির চাইলেই অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া যায়
কিন্তু খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার মতো কঠিন কি অন্যকিছু হতে পারে,
প্রথম সিঁড়িটি নিজেকে গড়তে জানে মাটির নির্যাস থেকে কাদা আর কিছু খড়মাটি দিয়ে গড়া
প্রণয়ের স্বভাব জন্ম থেকেই তবুও পচাগলা আস্তরণ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
আদিম সভ্যতার আলোক পেড়িয়ে আধুনিক ছোঁয়া পেয়েও 'তথৈবচ'
শেকড় থেকে আজ অবধি অসমাপ্ত জীবনের উল্লাসে অজানাকে জানার তৃষ্ণায়।
আদিকবি থেকে লাঙলের ফলায় যারা বীজ বুনেছে বাঁচার জন্য
সেখানে থেকেই সুর ভেসে আসতো বাতাসের সাথে খেলা করে
হাসন, লালন, জয়দেব যেখানে থেকে বেড়ে উঠেছিল ; ঠিক সেখান থেকেই,
জয়নুলের চাকার কিচিরমিচির শব্দ ভেসে আসে নিভৃতে যতনে
খাঁটি আর্যবংশের নিঃশ্বাস থেকে যে, রং তুলির আঁচড়ে সৃষ্টি হয়েছে একটি ফুল
যে, বৃক্ষের শেকড় থেকে শিখরে পৌঁছনোর কাহিনী আজও চলমান
যে, বৃক্ষের হাওয়া লেগে শুষ্ক মাটি উর্বর হয়েছিল, প্রতিটি কণায় কণায় ত্বরা,
কোদালের ফাঁকে কিংবা ভাঁট ফুলের গন্ধ শুঁকে বলতে পারিনা,
এই পথে হেঁটে যাওয়া প্রিয়তমার শ্রাবণ চোখের সুপ্ত নজর ঠিক কোথায় পড়েছিল?
সদ্য ফোঁটা লেবু ফুলে কিংবা ক্ষেতের সোনালী শীষে তাও জানিনা!
চোখের পলকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কল্পিত স্বর্গ সিঁড়ি ভুলে যাই ;
ত্রিশ লক্ষ কারিগরের যে, ভুবন দীর্ঘ নয়টি মাসের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে
আমার জন্মের পর চোখ খুলেই যে , স্বর্গ চোখের সামনে ভেসে উঠছিল
তাঁর চেয়ে অন্যকোন স্বর্গের দৃশ্য কল্পের লোলুপ বাসনা আমার নেই।