যেহেতু মুক্তি অসম্ভবের
তাই জীবনেকে রেখে এলাম তোমার খুব কাছে
ললিতকলার শুদ্ধ ভৈরবী কোন উদ্যানে
আধেকসন্ন্যাস
জীবন পেলাম বলে
তোমার দিকে আর তাকানো গেল না
চুলোয় শুকাতে দিয়ে আগুনের মালা
আগুন খেলার নৃত্য দেখেছি
বুকের পাশে হাঁ করে বসে আছে;
আকাশ এতো 'দ' খেলায় মেতেছে কেন?
বালিশের নিচে চাপা সংলাপ
কুয়াশার ভোরে জন্ম নিয়েছে
ব্রহ্মপুত্র ক্ষণেক দাঁড়ানো চোখের অবশ;
কুড়িয়ে পাওয়া ঠোঙা
কতদিন-রাত জলের জোৎস্না
ছক কেটে গেছে কামনার বনে
তবুও একটি মন
সমুদ্রগামী বিহ্বলতার
গৃহস্থালির পাঠ নিয়ে শেখা
মনসার ঠোঁটে কবিতার রঙ
প্রিয়জন তো উড়ন্ত পাখি
ঘাই দিয়ে যায়
দিন লুটোনোর ফাঁকে
উইয়ের ঢিবি নিয়ে বসে থাকি
কয়েকটি মৃত পংক্তির কথা বুনে
মূলত, একটি হৃদয় চাচ্ছি
মরে যাব বলে
চিতার আগুন নেভানোর আগে
হৃদয়টা রেখে যেতে চাই দূরে....
কালক্ষেপণের আগে
কেউ যদি বলে
আচ্ছা, কলম যদি জানতেন
________________________
এ পর্যন্ত আমার সারাজীবনের গল্পকে বর্তমান ভাবনার সাথে যুক্ত করে, একটা কবিতার জন্ম দিলাম। মূলত, আমার জীবনের একাকীত্বের একটি মানচিত্র।