জলেশ্বরী পার হয়ে যেতে যেতে হঠাৎ মনে পড়ল তাকে
স্তব্ধ উদাসীন চোখে ধরলার বয়ে চলা তরঙ্গ ছুঁয়ে,
যার লাজুক দৃষ্টিতে ফুটে উঠেছিল রূপ লাবণ্য চিহ্ন;
'পরাণের গহীনের ভেতর' থেকে অদ্ভুত সে সুর আসে
জলেশ্বরীর পুত্রের কলম স্রোতস্বিনীর মতো আজও
হৃদয়ের কলতানে অদ্ভুত আনন্দ নিয়ে আসে গহীনে
কাব্যালোকের পরশ ছুঁয়ে দেয় হৃদয়ের আরশিতে সে!
সে যে এক কবি হেঁটে চলে শব্দ গেঁথে গেঁথে সে রসলোকে
যেখানে এসে হয়েছে লীন, সেখানে গড়েছে নতুন রূপে,
প্রেমেতে বেঁধেছ আজ মানুষের মাঝে এসে, "সেই যে তুমি।"
কবি, তুমি জলেশ্বরী পুত্র ঋদ্ধতার রথে বসে গেয়েছ
জীবনের জয়গান, শঙ্খিনীর মতো প্রাণ তুমি ছুঁয়েছ।