গণ্ডযোগে জন্ম তাঁর ফাল্গুনী রথে চেপে
অন্তর চন্দ্র
জগডুমুরের থেকে দেখেছিলাম চেয়ে মঞ্জির বাজে পায়ে
বিরাট নগরীর ধ্বংসস্তূপ ঘুরে ঘুরে কত কথা বলেছি তার সাথে
আষাঢ়ে বাদল রাতে কিংবা শীতের কনকনে ঠান্ডায় তার তিয়াসী মুখ
ফাল্গুনী রথে চেপে যায়; সৃজিতা ভুলেও হাত রেখো না তার কাঁধে,
গণ্ডযোগে জন্ম তাঁর ক্ষুধায় অনাহারে ধূপের মতো জ্বলে।
কৃষ্ণপক্ষের প্রথম আলোয় চোখ গিয়েছিল চাঁদে অকস্মাৎ দেখা হলো তার
কত ভালোবাসে সে, আগে ভাবিনি কখনো মনে মনে, শুধু ছিল ডর;
সমীরণ ছুঁয়ে যায় মেঘেরা বৃষ্টি দেয় তীব্র স্রোত ভেসে যায়।
জীর্ণ হুতাশন ছেড়ে এই বেশ ভালো আছি, সুখে আছি,
তবুও সৃজিতা ভালোবাসি, বসে থাকি, জগডুমুরের তলে আবারও সে আসবে
তুমিই কি প্রিয় হবে? না , আমিও তাঁর প্রিয়, প্রথম আলোয় তার মুখ দেখেছি
ভুলে যাওয়া কাব্যেরাও সেদিন জেগে ওঠে প্রত্যেকের হৃদয়ের আর্শিতে
জগডুমুরের থেকে দেখেছিলাম চেয়ে হাসির মতো মুখ নীলপদ্ম আঁখি
ভালোবাসি, সে ভালোবাসে সৃজিতা বুঝে ফেলার আগে;
কেউ একজন তো আছে? কাছে ডাকে , কাছে আসে!
গণ্ডযোগে জন্ম তাঁর ফাল্গুনী রথে চেপে।