রক্তজবার অঞ্জলী দিব বলে বেড়িয়েছি সূর্য হাতে
অবগুণ্ঠিত ত্রাসের নিয়তির বুকে শ্বাস নিয়ে ক্রোমে
নিয়তির মর্ম ছেদ করে জিয়ন্ত লাশের লজ্জা ভেঙে
শক্ত করে আল বেঁধে দাঁড়িয়েছি এক বুক স্বপ্ন নিয়ে।
স্নেহাতুর প্রকৃতির রূপ আজ ভয়ঙ্করী সাজে দোলে
তীব্র গর্জনের শব্দে খোকা ঘুম থেকে ওঠে দীর্ঘশ্বাসে;
একগুচ্ছ তাজা ফুল বাগানের থেকে আজ ঝরে গেছে
বিভৎস লাশের স্তূপ তীব্র গন্ধে চারদিকে পোকা খেলে।
মায়ের আঁচল টেনে বোনের লজ্জা হরণ করে কে সে?
শকুনের মত ছিঁড়ে ভাইয়ের বুক থেকে রক্ত ঝরে
প্রিয়তম পিতা তাঁর ভালোবাসার মানিক খুঁজে ফেরে
হায়েনারা সব ঠা ঠা হাসতে মায়ের কোল রক্তে ভেজে।
দামাল ছেলের দল একাত্তরে রণাঙ্গনে জেগে ওঠে
আকাশের বুকে রক্ত তিলক পড়িয়ে দিয়ে দুঃখ সয়ে।
বোনের লুন্ঠিত দেহ থেকে খসা ওড়নার ধ্বজা দিয়ে
ভাইয়ের রক্ত বুকে ঝাঁঝরা হওয়া লাল নিয়ে এসে
রঙ কাঁচা সবুজের পাশে এঁকে দেয় সূর্য চিহ্ন কে সে?
রক্তজবার অঞ্জলী দিব বলে সেই কবে বেড়িয়েছি
একাত্তরে রণাঙ্গনে ওই দূরে শোনা যায় বজ্রবাণী,
তারপর, একদিন সত্যি সত্যি ফুল ফুটে শুষ্ক গাছে
দীর্ঘ নটি মাস গেল অস্তমিত নিয়তির ক্রোড়ে থেকে
ঢ়ের লীন যত লাশ সব জেগে ওঠে! "জয় বাংলা" বলে।