যে চক্রব্যূহ আমার জন্য রচনা হয়েছে আজ সেখানে অদ্ভুত দাঁড়িয়েছি
দিগন্তের ক্লেদাতিতো শূন্য সারিতে দাঁড়িয়ে রক্তিম সূর্য পকেটে পুরে রাখি।
আগুনের তপ্ত শিখা বাতাসে দারুণ দোলে, দোলে বনানীর ছায়া সুনিবিড়
কঠিন যে রাত চলে গেছে নিয়তির জলে ভেসে শীতের সকালে একদিন,
যেদিন পূর্ব গগণে পূর্ণিমার ঝিকিমিকি আলো অদ্ভুত নিরস দেখাচ্ছিল;
চৈতন্যের মোর্চা থেকে বেরিয়ে আসার ঝঞ্ঝা সবেমাত্র নিকুঞ্জের মাঝে ছিল
হঠাৎ চৌদিকে ভেঁপু বাজতে শুরু করল, যৌবন কেড়ে নিয়েছে অকারণ;
শবারূঢ়া মনে হয়, ধরণীর প্রান্তরকে, কাকতাড়ুয়ার সুপ্ত কাৎরানি।
যে চলে গেছে তাঁরেই কেন বুকে তুমি চাও? আঁধারের বুকে কেন পা বাড়াও?
শূন্য উদ্যানের দিকে তুমি ফিরে যদি চাও! পাবে বিষণ্ন পাথার, সেইদিন;
তবু চেয়ে থাকি সুখে এ দুঃখ কি পাগলামী, উন্মাদ কঠিন হিয়া জেনে রেখো!
অভিমান কেড়ে নিল ভালোবাসা রাশিরাশি একগুচ্ছ নিয়তির লীন হাসি
এ জন্মে কখনো যদি ভুলবোঝাবুঝি হয়, পুনর্জন্মে নীলাকাশে দেখা হবে,
চোখের পলকে চেয়ে থাকাব দুজনে মিলে খুব কাছাকাছি এসে; একদিন,
যেদিন ধরণী কোলে থাকবেনা দ্বিধাবোধ, সুন্দরের প্রতিভার পরিহাস,
দারিদ্রতা ভরপুর অন্তর খুঁজবে তাঁরে নিয়তির চক্রব্যূহ ভেদ করে।