চারদিকে হাহাকার,
কোথাও ঠাঁই নেই দাঁড়াবার;
মানুষ ভাসছে ঢের, ভাসছে ঘর - বাড়ি , পশু -পাখি , সবুজ অরণ্য
বান এসেছে, আজ অশ্রু নদের ধারার ক্রন্দনধ্বনি শুনতে কি পাও?
ডুবে মরে অবলা, তাঁর না বলা কথা স্মৃতিপটে থেকে যায়
চারদিকে প্রতিকুলতার হাতছানি মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বারবার
ক্ষণের পদাবলী গেয়ে যায়, দুঃখিনীর স্বর্গ কেড়ে নেয়।
কর্মহীন নিঃসঙ্গ দিন স্রোতের টানে বানের জলে ভাসে
দুরাশার একি গ্রাস মানুষের কঙ্কাল ফেরে পথে পথে;
খাবারের বড় অভাব, দুঃখীর কপালে হাত, চোখে নিরাশা
বেদনার ঘনছায়া ঘিরে রেখেছে ভেলাময় জীবনের আস্বাদ
মৃত্তিকা তুমি কত দূর? স্বপ্নেরা ভেসে যায়, ডুকরে মরে পরাণ।
দিক- দিগন্ত জলে পরিপূর্ণ, আস্তানা নেই, সবই শূন্য
শ্রান্তির অবসান নেই আর নেই, হৃদয়ের কাঁচার ভাঙে
স্বপ্নেরা লুট হয়ে যায়, সুরমা- কুশিয়ারা জানে মনের গহীন নীড়ে
উত্তাল স্রোত বয়ে যায়, মানুষ মুক্তি না পায়, হাঁপিয়ে যায়
চোখের ভিতর থৈ থৈ খেলে যায় অসময়ের ক্রন্দন,
তিলে তিলে মিশে যায় ব্রহ্মপুত্র - ধরলার ধাবমান জলে
অনুভব কি হয় তোমার? এ সকাল ছিল না আমার!
আজ এসেছে তীব্র বন্যার আহ্বান
আজ এসেছে নিঃস্বতার আহ্বান
আজ হয়েছে স্বপ্নের অবসান
আকাশে বাতাসে শুধু হাহাকার... হাহাকার।