হৃদয়টা ছিঁড়ে খাবে খাও আমি অবলীলায় বিলিয়ে দিব। বাম পাঁজরে আনন্দের লীলাভূমি, ডান পাঁজর গোচারণ ভূমি। পৃথিবীর নগরীর বাঁকে বাঁকে হরিণীর মতো দুর্বা ঘাস খেয়ে খেয়ে স্বাদ তুমি নিও; তারপর হৃদয়টা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে কচি কচি আক্রোশে ঠোঁটে কুহকের নিবিড় গতিস্রোত। পালতোলা নৌকায় তন্বী রাত্রির অবকাশে একদিন সূর্য হাতে বেরিয়ে পড়ব। যখন উত্তরায়ণের গভীর তিমির প্রতি গ্রাসে গ্রাসে ফণা তুলে তাকায় নিয়তির করুণ ডিঙায়। জাতিস্মরের সত্য বাণী পথের নিনাদে জেগে ওঠে! পানকৌড়ি উড়ে যায় ব্রহ্মপুত্রের চোখের ভেতর আশাহীন অব্যক্ত সব কেচ্ছা-কাহিনীর ইতি টেনে। আমি শ্রান্ত কোনো পৃথিবীর পথিক হেঁটে গেছি মাইলস্টোন গুনে গুনে বহুদূর... বিরাট নগরীর স্তব্ধ জৌলুসহীন প্রাঙ্গণে অতিথির বেশে কোনো নিয়তির সংগ্রামে। আমি চলে যাব যেখানে গান্ধারীর সাশ্রুসজল চোখ হৃদয়ের ক্ষত দূর করার অবকাশে একদিন মৃত্যুকে চিঠি লিখেছিল।
কবিতাটি ৪৮৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১৯/১২/২০২২, ০২:৩৬ মি: