মৃত্যু আমাকে ডেকে আদর করেছিল; অতন্দ্রপ্রহরী পা ফেলে হেঁটে যায়
আকাশের সমস্ত ত্বরা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উঠোনের চারদিক দিয়ে চলে
কলঙ্কিত চাঁদের আলোয় মুখ ঢেকে রাখতে ভালোবাসত সৃজিতা
সে নারীও নয়, পুরুষও নয়, দিব্য রজনীকান্ত ঝলকও নয়, চোখের সামনে ভেসে ওঠে!
আমার আমিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত যে জীবন মানুষের করুণা ভিক্ষা করে না
অথচ হৎপিণ্ডে বহ্নি বিসর্জন দিয়ে ক্রোমে ক্রোমে দারুণ বেড়ে ওঠে!
একবারও নিজের দিকে তাকানোর সময় হয় নাই; প্রকৃতির নিয়ম ভগ্ন হয় নাকি?
পাথরের মত শক্ত কিছু পেলে ঢিল মেরে বোলতা উড়িয়ে আনন্দ করতাম
আর ফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিতাম শুষ্কভগ্ন বুকের বারুদে।
দ্বিতীয় কোনো পৃথিবীর সন্ধান পেলে এই হলাহল পুকুরে স্নান করতাম
বাসুকীর ফণা বুকে টেনে মাতাল কবিতার শ্লোক বুলিয়ে জ্বলে উঠতাম
ধ্বংস নয়, সৃষ্টিও নয়, ঝঞ্ঝা রাতের অন্ধকারও নয় , এর নাম
ধক্ করে জ্বলে ওঠা!
ভষ্ম ছাই দেহের আস্তরণ; নবীন সূর্য উদয়ের সাথে সাথে মানুষগুলো নিভে-জ্বলে
প্রদীপের লেলিহান শিখা মৃত্তিকা ছেদ করে বেড়িয়ে আসেনি কিন্তু অগ্নি জ্বলছে
আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে যৌবন আক্রোশে আমার বন্ধু হয়ে আসে মৃত্যু,
সে নাছোড়বান্দা কখনই পর করে না কাউকে ভালোবাসার গভীরতায় পৌঁছে যায়
তারপর নিজেকে রাজার মতো সাজিয়ে নদীর কিনারায় বসে কোকিলের কুহুতান।