আমার কোন জন্মদিন নেই,
নেই, আমিত্বের কোন প্রগাঢ় ব্যাঞ্জনা;
ধূসর নীলিমার মতো চোখ তুলে তাকিয়েছি
আর নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি, "কেমন আছ?"

ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভেঙেছি গুপ্ত মনের কপাট
অগ্নিস্নানে বারবার নিজেকে শুদ্ধ করেছি,
আমার নিজস্ব দৃপ্ত একটি দিনের জন্য এতকাল অপেক্ষায়
তারপরও মনের সিংহাসনে আরোহণ করতে পারিনি।

আমার নিজস্ব কোন জন্মদিনে
তোমাকে পাওয়ার অপেক্ষায় ভুলে যাই শত বাঁধা,
ছিনিয়ে নিই অন্তরে লুকিয়ে থাকা ক্ষ্যাপা
আর তাঁর চেহারার দহন বাষ্পের ঘ্রাণ।
স্রক চন্দনে সজ্জিত করি হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা, পূর্ণতা
ক্লান্ত পথিকের মতো হেঁটে যাই জীবনের বাঁকে বাঁকে
আঁধারের সুখ খুঁজে পৃথিবীর বালিকার নীড়ে।
অদ্ভুত রহস্যময় সত্য এ চেহারা নিয়ে বেঁচে থাকা
তিলে তিলে ক্ষয়ে যাবে দূরে...দূরে... বহুদূরে...

পিছনে ফিরে তাকাতে দেখি চলে গেছে বহুকাল
হাড় হিম হয়ে আসে প্রতিনিয়ত আক্রোশে,
চোখের দৃষ্টিকোণে মৌনব্রত বৃষ্টির করুণ ভাষা
পায়ের ত্রিভঙ্গ ঠামে শ্যাম কিশোর হাসে না, বংশীর ধ্বন্নিতে
এখন উদাসী স্বপ্ন আষাঢ়ে অদ্ভুত ফাঁদা গল্প।

সত্যি বলছি আমার কোন জন্মদিন নেই,
থাকলে, আবার কেন সাধ হবে জন্ম নিতে?
বাংলার সোনালী শীষে স্বপ্ন ঢ়ের করে আসে
শবাকীর্ণ পৃথিবীর বুক চিরে ফুটে উঠি! বারংবার।
ভিক্ষারীর জীর্ণ ছেঁড়া জামায় গেঁথে নিয়েছি অজস্র দহন
আর প্রেমিকার মতো গালে গাল ঘষে ফের দাঁড়িয়েছি।

আমার নিজস্ব কোন জন্মদিন নেই,
তবুও বারবার ফিরে আসি, মায়ের বুকের খোকা হয়ে।
দৈবাৎ কোন স্বপ্ন নিয়ে।

__________________________