মুঠো ফোনে কথা হলো আমার ভালোবাসার শনে,
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো আমাদের, কাজি অফিসে গিয়ে
আজ বিয়ে করবো দুজনে।
বাবা মাকে ত্যাগ করে গৃহ ছেড়ে ছুটে চলে
গেলাম ভালোবাসার কাছে,
সে আমার হাতে হাত ধরে যান বাহনে চড়ে
নিয়ে গেলো কোন এক অচিন বনের দেশে।
সেথায় গিয়ে পাশাপাশি বসে দুজন
মগ্ন ছিলাম মধুর মধুর আলাপনে,
হঠাৎ বলে ফেললাম ওগো সন্ধ্যা হয়ে গেলো
এখন আমরা বিয়ে করবো কেমনে?
সন্ধ্যা পর যখন আঁধার হলো সে আমাকে নিয়ে
গেলো ঐ গহীন বনের মাঝখানে,
সেখানে গিয়ে এ কথা সে কথা মিষ্টি কথার ছলে মগ্ন
হয়ে গেলো আমাকে ধর্ষণে।
কেঁদে কেঁদে বললাম তুমি আমার কি সর্বনাশ করলে
এখন হবে কি উপায়?
এ কথা বলতে না বলতে শরীরটা ক্ষত বিক্ষত করে
আমায় একা রেখে চলে যায়।
গহীন রাত, চারিদিকে স্তব্ধতা বিরাজ করছে
আশে পাশে কেউ জেগে নেই
চাঁদ তাঁরা হীন মেঘে ঢাকা আকাশ অন্ধকারে
ঘিরে রেখেছে সমস্ত বসুন্ধরা কে,
একা, আমি শুধু একা বসে আছি কোন এক
অচিন বনে ছিন্ন পোশাকে,
ক্ষণে ক্ষণে বৃক্ষের শাঁখে বাতাসের দোলে ভয়ংকর
আওয়াজে যেন দম বন্ধ হয়ে যায়,
সমস্ত শরীরটা এত ক্ষত বিক্ষত যে আশেপাশে কারো গৃহে
আশ্রয় নেওয়ার ছিলো না অধিকার,
হঠাৎ ক,জন নরপশু এসে জোর করে হায়েনার মত আবারও
ছিরে ছিরে খেলো আমার দেহ খান,
মেরে ফেলতো ওরা, যদি বলতাম কে আছেন একটু বাঁচান।
বলতে পারিনি আমি করতে পারিনি চিৎকার।
সেদিন থেকে পথ চলা হলো ভিন্ন করলাম নতুন অঙ্গিকার।
আমি এখন রোজ রাতে বদ্লাই শত মানুষের হাতে হাতে,
পড়ে থাকি রোজ কখনও মাঠে কখনও ঘাটে কখনও হাটে
আবার কখনও নরম শয্যা'র খাটে।