আজ এই রজনী তে তোমার নিমন্ত্রণে
ওগো ধন্য আমি মুগ্ধ এই বৃষ্টির গানে।
টাপুর টুপুর আর ঝন ঝনে গানের তালে,
পূবালী হাওয়া এসে নাচে হেলে দুলে।
একখানা বাতায়ন খুলে দাও না প্রিয়া,
ঘুরে আসি একবার সর্গপুরে নয়ন মেলিয়া।
ওগো প্রিয়া, এভাবে এ লগ্নে মৌন কেন তুমি?
বুঝেছি, কেন তোমার এই অভিমানী রূপ
এসেছি তোমার নিমন্ত্রণে,
আর নিশি জেগে সুখ কুড়াচ্ছি ঐ বৃষ্টির শনে,
কেমন করে সইবে তুমি আমার এমন দুষ্টামি!
ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করে ফিরে চাও একবার,
এসো দুজনে মিলে আজ হয়ে যায় একাকার।
অভিমান ভুলে এখন তুমি অনুরাগের বীণ বাজাবে.
তুমি না হাসলে হৃষ্ট হৃদয় পাথর হয়ে যাবে।
কথা না বললে আঁখি দুটি যে বিষাদ সিন্ধু পাবে,
হাতে হাত না রাখলে বুকে জল তরঙ্গ বয়ে যাবে।
পারবে এখন অভিমান করে থাকতে? পারবে না তুমি,
তুমি এখন আমাকে তোমার ঝুমকো কানের দুল,
লাল ফিতায় বাঁধা চুল হাতের চুড়ি কপালের ঐ টিপের
পরশ দিবে সে টা নিবো আমি।
এই যে কোলে মাথা রাখলাম, এবার মাথায় হাত বুলিয়ে
ঘুম পাড়ানি র গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে আমায়, কেমন!
সত্যি অপূর্ব রূপবতী তুমি, পাগল করা ঐ মুখের হাসি
যেন কোন বাগানের ফুটে উঠা লাল গোলাপ ফুল,
প্রিয়া, নিশি চলে যাবে ওর সাথে আমাকেও যেতে হবে,
বোকা মেয়ে, এভাবে কাঁদে কেউ আমি কি চলে যাচ্ছি
তোমাকে ছেড়ে একদম চিরতরে?
আবার আসিবো ফিরে খবর পেয়ে তোমার ছোট্ট ঘরে।