কাব্য লিখছি লিখে যাব
ছোট ছোট শব্দ দিয়ে বাক্য গঠন করে
ছন্দের তালে রোজ যে নৃত্য করি-
আমি তা জীবন বেলা ফুরানোর আগ-
পর্যন্ত করেই যাব।
মধুপের প্রসূত মধু শিখর হিমাদ্রি
তৃণের পল্লবে পবনের দোল
ধানের শীষে অন্ন লুকিয়ে থাকার খোল-
এর মাঝেই কবির সুখ
সর্ব ফুলের সৌরভ মন ব্যাংকে জমা-
রাখাটায় হলো কবির কর্ম।
গ্রামের ছবি নদী যেসব কাজে ব্যস্ত
প্রভাতে বিহঙ্গের গান
সব কিছু ভাবনার কাছে বন্দি করে
ক্ষণে ক্ষণে প্রকাশ করি কাব্যে-
বিবিধ রূপক প্রেম বিরহ ধর্মীয় জীবনমুখী
মানবতা বাদী আকারে।
কখনও ললনার কবরী তে রূপ ধারণ করি
অকাল বৈশাখী ঝর
কাঁকন নূপুরের সাথে কথা বলি কখনও
নিশিতে গৃহের দ্বার বাতায়ন
চাঁদের তারার সাথে কথোপকথন,
পৃথিবীর প্রায় সবখানে উপস্থিত হই
কাব্যের ডায়েরী তে।
কিন্তু ছয় যুগ পরে কি আর পারবো-তোমাদের
দ্বারে তুলে দিতে ছন্দের তাল?
আমি তো পারবো না কারণ অবসান হবে
আমার এই লেখার যাত্রা।
যে বা যারা আমার লেখা পড়িয়া
খারাপ ভালো বিবেচনা করেছো।
তাহাদের সবার প্রতি আমার সালাম-
ও হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা রইলো।
কবি হয়ে কাব্যের কথা মহাপ্রলয়
পর্যন্ত মানুষের মনে রেখে দিতে চাই।
এটাই প্রত্যাশা ভরসা সর্ব সুখের ।