আমার নাম বাবা মা রেখেছে মিতালী
কিন্তু নিজেই নিজের নাম রেখেছি দুঃখিনী,
বাবা মায়ের একটাই সন্তান আমি বড়ই অভাগিনী।
বাবা তো একদম অচল আজও সে নিজের পায়ে
দাঁড়িয়ে চলতে পারে না,
প্রতিদিন ভোর হলে কাশেম মামার ভ্যানে চড়ে
গিয়ে বসে ঐ রাস্তার মোড়ে,
হাত দুখানি পেতে সবার কাছে বিনয় সুরে বলে
ও মা ও বাবা একটু সাহায্য করেন আমারে,
দুই টাকা পাঁচ টাকা সারা দিনের মধ্যে বোধহয়
দু,একজন দশ টাকা নোট দেয়,
সন্ধ্যা হলে বাবা টাকা গুণে দেখে দুইশত থেকে
আড়াই শত টাকা হয়েছে,
আবার কাশেম মামার ভ্যান গাড়িতে চলে আসে
কিন্তু মা আসেনি এখনো ফিরে বাবা আমায় ডেকে
জিজ্ঞাসা করলো এখনও তোর আসেনি কেন রে?
আমি বললাম বাবা আজ বাবু দের বাড়িতে অনুষ্ঠান
মায়ের আসতে দেরি হবে।
বাবা বললো তাইলে আজকে ভাত রাঁধিস না
তোর মা খাবার নিয়ে আসবে।
আমি বাবার দিকে চেয়ে বললাম আজ সারাদিন
ঘরের চুলাই আগুন জ্বলে নি,
চাল ডাল কিছুই নেই, তুমি বললেও রাধা হতো না,
তাইলে তুই কি সারাদিন না খেয়ে আছিস?
এ কথা সকালে আমায় বললি না কেন?
আমি বললাম বাবা আমি তো এমনি তোমাদের বোঝা
তাই তোমাদের কষ্ট দিতে মন চাই না,
কথাটা বলেই চেয়ে দেখি বাবার চোখে ঝরছে জল
আমি বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম বাবা আমাকে
বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো,
আমি বাবার চোখের জল মুছতে না মুছতেই দেখি
মা সামনে এসে হাজির,
মাকে বললাম তুমি এসেছে ভালোই হলো কিন্তু
তোমার মুখটা কেন ভার,
কথা নেই মুখে চুপটি কেন কি হয়েছে তোমার?
বিঃ দ্রঃ- দুঃখিনীর জয় কবিতাটি অনেক বড় হবে তাই পর্ব আকারে পেশ করলাম।