ঐ যে চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, তা দেখে
অতি হৃষ্ট পূবালী হাওয়া,
দাঁড়িয়ে দীঘির পাড়ে অপলক চাহনি পদ্ম
পানে উত্তমাঙ্গ কেশ ঝুলাইয়া।
কে গো তুমি চাঁদকুমারী এই অবেলায়
এখানে তোমার চরণ?
দেখে নিথর প্রকৃতি নিথর দীঘির জল
বলো গো তোমার চাওয়ার কি ধরণ?
নীল পরীও না লাল পরী আমি তোমার
নাম রেখেছি চাঁদকুমারী,
নিজের পানে চেয়ে দেখো চাঁদের আলো পেয়ে
তোমার অঙ্গ জ্বলছে ঝিলমিল করি।
ঐ চরণের স্পর্শে ধূলিকণা মাটি হলো ধন্য,
আর আমি তো সারাজীবন চণ্ডীদাসের মত
প্রহর গুণে যাবো তোমাকে পাওয়ার জন্য।
ওগো অপূর্ব রুপবতি শোন আজি বলি মনের কথা,
এক সিন্ধু ভালোবাসা নিয়ে এসেছি তোমার জন্য
ফিরিয়ে দিও না তুমি হৃদয়ে দিও না ব্যথা।
তুমি কি ভালবাসবে আমায় নেবে কি বরণ করে ?
তুমি হলে মোর সহচারিণী সুখের ভেলায় ভাসিবো চিরতরে।
বলিও মনের কথা আমি রইলাম তোমার প্রতীক্ষায়,
আকুল প্রাণ শুধু তোমাকে চায় তুমিহীনা বেঁচে থাকা দায়।