কাকলী আজ বাড়ী ফিরছে না।
ফিরছে না তার পড়ার ঘরে।।
সেই যে কখন বেড়িয়েছে সে।
হাতে ব্যাগ নিয়ে কলেজে যাবে বলে।।
কিন্তু আজ যে রবিবার, কলেজে কেন যাবে?
সকালে কথাটা খেয়াল করেনি বাবা।
অফিসে যায়নি বলেই মনে পড়েছে।।
না! মেয়েটা বড্ড লাগামছাড়া হচ্ছে।
বাড়ীতে একটা ফোনও করলো না।।
বিছানার উপর রাখা ফোনটা হঠাত বেজে উঠল।
মা ছুটে গিয়ে ধরলো।।
না, কাকলী নয়-রায়বাবুর ফোন।
কাল বাড়ীতে ডিনারের নিমন্ত্রন।।
প্রতীক্ষায় ভোর হয় এই ভেবে-
হয়তো বান্ধবী টিনার বাড়ী যাবে।
‘নেটওয়ার্ক ছিল না’ ফিরে এসেই বলবে।।
অফিস যাবার সময় বাবার ফোন এল।
বাবা মা দুজনেই ছুটে গেল-
লাশটাকে শনাক্ত করতে-হাসপাতালে।
ফ্যান্সী জিন্স আর পাতলা টি-শার্টের ভিতরে-
লালসার ছাপ রয়েছে স্পষ্ট করে।
বিকাশ, আজিজ আর ঐ পাড়ার সুমন।
দু বছর পর রায় দেয় জাজ।।
‘মৃত্যুদন্ড পাবে (গরীব) বিকাশ’।
বাকি দুই বেকসুর খালাস।।