নিঃশ্বাসের শব্দ কি শুনিতে পাও
বালুচর ? আছড়ে পড়ে তোমার বক্ষে
শত শত জারজ সন্তান ! সিক্ত ঠোঁটে
উষ্ণতার স্পর্শ পায় ওরা , কোন অধিকারে ?
কীসের এ বন্ধন ! গোপনীয়তাহীন ।
উত্তরের বাতাসে প্রতিধ্বনি যায় শোনা –
বিস্ময়ে শুনিলাম , আমায় না দেখাই
ভালো । যে হৃদয় দেখেছো তাহা
বলে , সাধ্যের বাইরে –
চকিতে দেখিলাম , সূর্য কিরণে
সজল ছায়া । অশ্রু ঝরে শিশির
কণার মত ; ঘাস ফড়িং আস্বাদন
করে শীতলতা ।
সেদিন প্রখর রৌদ্রে মেঘের জলবীর্য হারায়
তাহার অবয়ব , সাধ্য – বালুচরের হৃদয়ে ।
হাঁটিতে লাগিলাম আমি বিবাগী পথিক –
পথ আমার শীর্ণ পা’কে করেছে বন্ধু ।
হে মানব – তোমার শরীর , অশ্রু
যদি হয়ও অকাল সঙ্গমের সংজ্ঞা – তাও ‘
তাও প্রান্তর , ভাঙা পথ , উদাসী
বাতাস , বালুচর দেয় ক্ষণিক শান্তি ;
বলো তুমি , কীসের তরে ?
নগ্ন হও , প্রতি মুহূর্তে কাহার ভরসায়
এই বদ্ধ অথবা উন্মুক্ত বাতায়নে ??