বসন্ত যখন এ শরীরে সঙ্গমরত ব্যাঘ্রের মত থাবা
বসিয়েছে , ঠিক তখন বালুচরে অমাবস্যার অন্তিম
লগ্নে যক্ষা রোগের মত যে চাঁদ উঠেছিল , সেই
ক্ষয়িষ্ণু জ্যোৎস্নায় বন্য কোকিলের ভাঙা-লয়হীন সুর অরণ্য মনে ওঠে জেগে । অবশেষে , বুকের
একজোড়া প্রকোষ্ঠে আন্দোলিত হয় অপরিশ্রুত
ঘন দীর্ঘশ্বাস এবং শেষে উষ্মাহীন নিসঙ্গ মৈথুন ।
মানুষ থেকে উন্নত উপাধি চাই না পড়তে । কিন্তু ,
অকাল ঘুম ভাঙা চোখের একাকীত্ব আছড়ে পড়ে
সমুদ্র সৈকতে । ক্রমে যুথবদ্ধ ফেনার সাথে যায়
মিলিয়ে নোনতা অশ্রু অসংখ্য ফসফরাস সজ্জিত
ঢেউয়ের আপাত উদ্ধত বিলম্বিত লয়ে , ছন্দে ।
এ জীবনকাহিনী নতুন কিছু নয় , তবুও --
পুরাতন হল , সৃষ্টিদের জাগরণ , কবির কলমে
আঁচড় কাটলেও --- উচ্ছ্বাস-প্রকাশের গন্ডী ,
স্রোতহীন ভাবে মাথা খুঁড়ে যায় প্রান্ত থেকে প্রান্তে ,
নিস্তরঙ্গ হ্রদের উপল ভূমিতে , নীরবে ।
হে , আপাত ব্যাস্ত মানবকুল পারলে এ বসন্তে
শুনে যাও একবার স্রষ্টার প্রসব বেদনার উপাখ্যান ।
হয়তো , সেই বোবা স্পর্শে তোমাদের ধূসর
হৃদয়- বৃক্ষে ফুটতেও পারে নামহীন একগুচ্ছ
ফুল ; বসন্ত যে জাগ্রত দ্বারে ॥