ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দিন বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘজীবন কামনা করে ভাইফোঁটা দেয়। তারপর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ায়। ভাইও বোনকে কিছু উপহার বা টাকা দেয়।

অতঃপর, বোন তার ভাইএর মাথায় ধান এবং দুর্বা ঘাসের শীষ রাখে। এই সময় শঙ্খ বাজানো হয় এবং হিন্দু নারীরা উলুধ্বনি করেন। এরপর বোন তার ভাইকে আশীর্বাদ করে থাকে (যদি বোন তার ভাইয়ের তুলনায় বড় হয় অন্যথায় বোন ভাইকে প্রণাম করে আর ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে থাকে)। তারপর বোন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি দ্বারা ভাইকে মিষ্টিমুখ করায় এবং উপহার দিয়ে থাকে। ভাইও তার সাধ্যমত উক্ত বোনকে উপহার দিয়ে থাকে। সকল বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।


ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়ার কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়ার দিন ভারি ধূম পড়ে,
ভাই-ফোঁটা উত্সব প্রতি ঘরে ঘরে।
ভগিনীরা ফোঁটা দেয় ভ্রাতার ললাটে,
বর্ষে বর্ষে ভাই-ফোঁটা যমভয় কাটে।


আজিকার দিনে যদি বোন ফোঁটা দেয়,
সাধ্য নাহি ভ্রাতৃ -আয়ু যম কেড়ে নেয়?
ভগিনীরে দেয় ভাই দামী অলঙ্কার,
তার সাথে নব বস্ত্র নানা উপহার।


প্রথমেতে ভগিনীরা প্রদীপ জ্বালায়,
ধান্য দূর্বা দেয় তারা ভ্রাতার মাথায়।
চন্দনের ফোঁটা দেয় ভ্রাতার কপালে,
উপহার করে দান ফোঁটাদান কালে।


সুমিষ্টান্ন ফল-মূল বিবিধ প্রকার,
ভ্রাতা দেয় ভগিনীরে নানা উপহার।
ভাই বোন হাসিখুশি থাকে সর্বক্ষণ,
ভ্রাত-দ্বিতীয়ার কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।