দেশ আজ স্বাধীন। স্বাধীনোত্তর ভারতে আজ গর্বভরে উড়ছে অশোক লাঞ্ছিত ত্রিবর্ণ পতাকা। আমাদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক, দেশের অগ্রগতির প্রতীক, জাতির প্রতীক, জাতীয় পতাকা। আসুন আমরা সকলেই গেয়ে উঠি ভারতমাতার গান। জনগণবন্দিত জাতীয় সংগীত, জনগণ-মন -অধিনায়ক জয় হে- আর দেশের স্বাধীন চেতনায় আমার দেশাত্মবোধক কবিতা-মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি-
“স্বাধীনতার মানে”।
স্বাধীনতার মানে- দেশকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপরে দাঁড় করানো; স্বাধীনতা মানে-দেশের মানুষের ন্যূনতম প্রয়োজন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, ও বস্ত্র। স্বাধীনতার মানে- বসবাস যোগ্য স্থানের চাহিদা পূরণে সক্ষম করে তোলার সাথে কর্মসংস্থান ও বিজ্ঞান বিষয়ক দিকে দেশকে স্বনির্ভর করে তোলা। স্বাধীনতার মানে এই নয় যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করা, স্বাধীনতার মানে- দেশের প্রতি আরও কর্তব্য পরায়ণ হওয়া। স্বাধীনতার মানে-দেশের মানুষকে ভালবাসা, দেশের মানুষের সেবা করা, মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর নাম স্বাধীনতা।
আমরা স্বাধীন- দেশের মধ্যে এখনও প্রতিদিন কৃষককে আত্মহত্যা করতে হয়। ফসলের বীজ কেনার টাকা নেই। ধারের টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যাকে মুক্তির সহজ উপায় বলে ভেবে নিচ্ছে কৃষকেরা। “কৃষক সারা জীবন চাষ করে আর সারাজীবন ধরে ধার করা সুদের টাকা শোধ করে”- সব চাইতে দুঃখের বিষয় হল- এইসব কৃষকদের দুর্দশাকে সামনে রেখে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ আমাদের স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনভাবে ধার হিসাবে টাকা তুলে দিচ্ছে কৃষকদের হাতে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি নেই এই স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের কাছে। সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা দরকার কৃষকদের আর্থসামাজিক জীবনযাত্রা নিয়ে, কৃষকদের প্রয়োজন বৈজ্ঞানিকভাবে কৃষি উন্নয়নের প্রশিক্ষণ। সঠিক কৃষককে সঠিক ভাবে চিহ্নিতকরণ প্রয়োজন, সাথে সাথে দরকার শিক্ষা। শিক্ষিত কৃষক পারবে নিজের অধিকারটি বুঝে নিতে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে।
স্বাধীনতার মানে- এক দিনের ছুটি নয়, স্বাধীনতা মানে- জাতীয় পতাকা উত্তোলন নয়, নয় ক্লাবে, ক্লাবে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো। এই স্বাধীনতার মানে- স্বাধীনতার সঠিক মূল্যায়ন করা।
১) এই স্বাধীনতা দিবসে আমরা আমাদের দেশের শান্তি ও ঐক্য সুরক্ষিত রাখার শপথ গ্রহণ করি।
২) যাঁরা এই দেশ গড়েছে, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বলিদান কখনও ভোলার না। জয় হিন্দ!
৩) মনে থাকুক স্বাধীনতার স্মৃতি, হৃদয়ে থাকুক বিশ্বাস। স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্র নির্মাতাদের স্যালুট জানাই আমরা।
৪) আমাদের স্বাধীন করার জন্য অত্যাচার, ত্যাগ, বলিদান স্বীকার করেছেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। ১৫ আগস্ট তাঁদের মনে করে ও সম্মান জানাতে চাই।
৫) আমরা সবাই আলাদা হয়েও আমরা স্বাধীনতার সূত্রে এক সুতোয় গাঁথা। এই দিনটিকে কখনও ভুলে না গিয়ে আমাদের স্মরণ করা উচিত যে এই স্বাধীনতা অর্জন করা কত কঠিন ছিল।
৬) বহু বছরের স্বাধীনতা সত্ত্বেও এখনও অনেক সমস্যার সমাধান করা বাকি। এই সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য এক হয়ে কাজ করে স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে আরও অর্থবহ করে তোলা যাক।
৭) স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের। এর জন্য আমাদের পূর্বপুরুষদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। যাঁদের ত্যাগের কারণে এই দিনটি আমরা পালন করতে পারছি।
৮) প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করার জন্য সবাই মিলেমিশে দেশের কাজ করি। লক্ষ্য আমাদের সোনার ভারত গড়ে তোলা।
৯) একটি রাষ্ট্র তার জনগণকে নিয়েই গড়ে ওঠে। তাঁদের কাজ ও অভিপ্রায় থেকে জানা যায় যে তাঁরা নিজের রাষ্ট্রের কেমন ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চাইছে।
১০) মননে স্বাধীনতা, হৃদয়ে বিশ্বাস, আত্মায় গর্ব এবং আমাদের রক্তে থাকুক দেশের প্রতি ভালোবাসা। স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই সুন্দর ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
বন্দে মাতরম ! জয়হিন্দ !
জয় স্বাধীন ভারতের জয়।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!!!
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা (দেশাত্মবোধক কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভারত মৃত্তিকা পরে ত্রিবর্ণ পতাকা উড়ে
আজি মোরা সবাই স্বাধীন,
দুইশত বর্ষ ধরে ছিল মা শৃঙ্খল পরে
ব্রিটিশের কাছে পরাধীন।
বিদেশী বণিক বেশে ভারতের বুকে এসে
চালাইল ব্রিটিশ শাসন,
পরাধীন দেশবাসী সবে আঁখিজলে ভাসি
করিল সবে কারা বরণ।
রাখিতে দেশের মান দেশ তরে প্রাণদান
স্বদেশের স্বাধীনতা চাই,
কে হিন্দু মুসলমান সবে ভারত সন্তান
হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই।
পাষাণের কারাগার ভেঙে হল চুরমার
সংগ্রাম করে আমরণ,
ব্রিটিশেরা পলাইল স্বদেশ স্বাধীন হল
কবিতায় লিখিল লক্ষ্মণ।