আজ সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আলিঙ্গন দিবস। এই পূণ্য লগ্নে আজ আমাদের ২৯তম বিবাহ বার্ষিকী। এক অভিনব মনোভাবনা সুবাসিত ভালবাসার পরশে সবাকার জীবন আলোকময় হয়ে উঠুক। সব পরিবারেই আসুক সুখ-সমৃদ্ধি। সেই নতুন ভাবনায় লেখা আমার কবিতা।

আলিঙ্গন দিবসের কবিতা (বিবিধ কবিতা)
কলমে - কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আলিঙ্গন দিবসের পূণ্য শুভক্ষণে,
দুটি মন এক হয় মধুর মিলনে।
ভালবাসি পাশে আসি করে আলিঙ্গন,
দুটি মন এক হয় এই সে কারণ।

ট্রামে ট্রেনে বাসে আর নির্জন শহরে,
করে সবে আলিঙ্গন বিজন নগরে।
উচ্চশব্দে হাসাহাসি করে কোলাহল,
যুবকের বক্ষলগ্না যুবতীর দল।

ধিক্ ধিক্ শতধিক্ নির্লজ্জা যুবতী,
ভারতীয় নারী হয়ে হেন অধোগতি।
ধিক্ ধিক্ শতধিক্ যুবক সকল,
ঘুনধরা সমাজের বিষময় ফল।

ট্রামে বাসে পথে ঘাটে করি আলিঙ্গন,
পাশ্চাত্য অনুকরণ কর কি কারণ?
এখন সময় আছে হও সাবধান,
কবিতায় লিখে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।

.....
আলিঙ্গন দিবসের কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আলিঙ্গন দিবসের লিখি কাব্য মালা,
প্রেমচাবি দিয়ে খুলে হৃদয়ের তালা।
মেট্রোরেল বাস ট্রামে দেখি সর্বজন,
বক্ষে লগ্ন করি সবে করে আলিঙ্গন।

পাশ্চাত্য অনুকরণ ভারতীয় রীতি,
সমাজের অবক্ষয় জাগে মনে ভীতি।
ভারতীয় নারী হয় আদর্শ মহিলা,
বিনম্র ও শ্রদ্ধাশীলা আর লজ্জাশীলা।

লজ্জা নারীর ভূষণ জানে সর্বজন,
প্রকাশ্যে কেমনে করে বক্ষআলিঙ্গন।
তরুণ তরুণী শুন আমার বচন,
পথে ঘাটে আলিঙ্গন কর কি কারণ?

প্রেম মানে ভালবাসা হৃদয়ের কথা,
প্রেমপ্রীতি ভালবাসা না হয় অন্যথা ।
আলিঙ্গন দিবসের কাব্য সমাপন,
কবিতা লিখিল কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।


আলিঙ্গন দিবসের কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বসন্তে আজ রং ছড়ালো
মনের আঙিনায়,
আলিঙ্গনের দিবসে আজ
মন তোমারে চায়।


বন্ধ মনের দুয়ার খুলে
দেখি দু’চোখ ভরে,
হদয় তব রয়েছে খোলা
চিরদিনের তরে।


শুভেচ্ছা প্রীতি ভালবাসায়
ভরিয়ে দেবো মন,
রক্ত গোলাপ দিয়ে তোমায়
নেবো করে আপন।


আজকে জানি ধরণীতলে
ভালবাসার খেলা,
তোমায় নিয়ে কাটবে বন্ধু
আজকে সারাবেলা।


কবি হৃদয়ে পরশ দিয়ে
আপন করে নিও,
যতন করে রক্ত গোলাপ
হৃদয়ে রেখে দিও।


প্রেমিক কবি কবিতাপ্রেমী
এই ধরণীর তলে,
কবির প্রেমে কবিতা আজ
হৃদয়ের কথা বলে।


***************


সিঁদুর রাঙানো বিবাহ বার্ষিকী
(২৯ তম বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে কবিতা)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


সিঁদুর রাঙা ভালবাসার
দিনটি মনে রাখি,
আজ মোদের ঊনিশতম
বিবাহের বার্ষিকী।


স্মৃতি পাতায় বাজে সানাই
মনের আঙিনায়,
সেদিন ছিল বিয়ের লগ্ন
আজকে লগ্ন নাই।


সেদিন ছিল খুশিতে ভরা
ভুবন আলোময়,
স্মৃতিতে ভরা দিনটি আজ
স্মৃতিপটে অক্ষয়।


সেজেছিলাম সেদিন আমি
বরের নব সাজে,
স্মৃতিতে ঘেরা দিনটি আজ
জাগে মনের মাঝে।


টোপর মাথে সেদিন রাতে
সাথীরে প্রথম দেখা
প্রিয়ার চোখে প্রথম দেখা
হৃদয়ে আছে লেখা।

সিঁদুর রাঙা ভালবাসার
দিনটি মনে রাখি,
আজ মোদের ঊনিশতম
বিবাহের বার্ষিকী।


স্মৃতি পাতায় বাজে সানাই
মনের আঙিনায়,
সেদিন ছিল বিয়ের লগ্ন
আজকে লগ্ন নাই।


সেদিন ছিল খুশিতে ভরা
ভুবন আলোময়,
স্মৃতিতে ভরা দিনটি আজ
স্মৃতিপটে অক্ষয়।


সেজেছিলাম সেদিন আমি
বরের নব সাজে,
স্মৃতিতে ঘেরা দিনটি আজ
জাগে মনের মাঝে।


টোপর মাথে সেদিন রাতে
সাথীরে প্রথম দেখা
প্রিয়ার চোখে প্রথম দেখা
হৃদয়ে আছে লেখা।


শঙ্খ বাজায় মেয়েরা সব,
মায়েরা উলু দেয়,
বর বধুকে সবাই এসে
বরণ করে নেয়।


ভালবাসার অবুঝ মনে
মিললো দুটি হাত,
পরিয়ে মালা সিঁদুর খেলা
কাটে বাসর রাত।


স্মৃতির রাশি বাজায় বাঁশি
আজ খুশির দিনে,
ঊনিশ তম পুরানো স্মৃতি
আজও পড়ে মনে।