শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই পুণ্য তিথির স্মরণে পালন হয় জন্মাষ্টমী।

সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গিয়ে ধার্মিক ও সাধারণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তখনই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ধর্মের রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে ধরায় নেমে আসেন। দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

শ্রীকৃষ্ণের জন্মকাহিনী সম্পর্কে জানা যায়, দ্বাপর যুগে অত্যাচারী রাজা কংসের নৃশংসতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মথুরাবাসী (ভারতের)। কংসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শুরু করে তারা। ভক্তের ডাকে সাড়া দেন ভগবান।

সেই থেকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী পালন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখনই ধর্ম সংস্থাপনের জন্য ভক্তের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ঈশ্বর অবতার রূপে পৃথিবীতে আসেন। ষড়গুণ অর্থাৎ শৌর্য, বীর্য, তেজ, জ্ঞান, শ্রী ও বৈরাগ্যসম্পন্ন পূর্ণাবতাররূপে প্রকাশিত হন কৃষ্ণ।

শুভ জন্মাষ্টমী ব্রতকথা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শুভ জন্মাষ্টমী তিথি পূণ্য শুভক্ষণ,
সকলেই করিতেছে নাম সংকীর্তন।
কুমারী যুবতী বালা, থাকে উপবাসে,
কৃষ্ণসম পতি পাবে এই অভিলাষে।

কারাগারে জন্ম নিল দেবকী নন্দন,
বসুদেব চলে ত্বরা নন্দের ভবন।
যমুনার তটে আসি উপনীত হল,
উথাল পাথাল করে যমুনার জল।

চারিদিক অন্ধকার ঘন কৃষ্ণমেঘে,
বহিতেছে সমীরণ অতি দ্রুত বেগে।
অশনিভরা বিজুলি জ্বলে চারিদিকে
কড়কড় রবে মেঘ ডাকে থেকে থেকে।

বসুদেব নামি পড়ে যমুনার জলে,
শৃগালে দেখায় পথ তার অগ্রে চলে।
বাসুকী ধরিল ফণা মস্তক উপরে,
কৃষ্ণ কোলে বসুদেব চলিল সত্বরে।

জন্মাষ্টমী ব্রতকথা শুন দিয়া মন,
যে নাম শ্রবণে হয় পাপ নিরসন।
কৃষ্ণনাম লহ জীব নাম কর সার,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি কবিতায় তার।