কথিত আছে, আজ এই চতুর্দশী রাত্রে শিবের বিবাহ হয় পার্বতীর সাথে। তাই এই দিনে কুমারী মেয়েরা উপবাসী থেকে বিশ্বপত্র, ধুতুরা, আকন্দ ও বেল শিবলিঙ্গে চাপিয়ে দুধ, ঘৃত, মধু আর গঙ্গাজল দিলে শিব সম পতি লাভ করে।
বাংলা কবিতা আসরের সকলকে জানাই পূণ্য মহা শিবরাত্রির শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
মহা শিবরাত্রির ব্রতকথা (পুরাণ কাব্যগাথা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শিবরাত্রি ব্রতকথা শুন দিয়া মন,
মৃগয়া করিতে আসে ব্যাধ একজন।
সারাদিন ভ্রমি ফিরি না পায় শিকার,
গৃহে ফিরিবারে হয় বাসনা তাহার।
বনমাঝে সেই ব্যাধ হারাইল পথ,
না পুরিল মনস্কাম ভগ্ন মনোরথ।
রজনী যাপন করে বিশ্ববৃক্ষে চড়ি,
নিক্ষেপিয়া পত্র ছুঁড়ে সারারাত ধরি।
আছিল শিবের লিঙ্গ বিশ্বতরু তলে,
বিশ্বপত্র পড়ে সেই শিবলিঙ্গ মূলে।
প্রীত হন মহাদেব তাহার উপর,
লভিল সে মহাপূণ্য অবনী ভিতর।
বৃদ্ধকালে সেই ব্যাধ মরিল যখন,
মৃতদেহ আসে নিতে যম-দূতগণ।
ইহা দেখি মহেশ্বর পড়িল সঙ্কটে,
পাঠাইল শিবদূত যথা মৃত্যু ঘটে।
যমদূত সনে তারা আরম্ভিল রণ,
জয় করি দেহ তার করে আনয়ন।
শিবলোকে যমরাজ করিল গমন,
যমরাজ হর প্রতি জিজ্ঞাসে কারণ।
শিব বলে ভক্ত মোর মহা পূণ্যবান,
যমলোকে তার নাহি হয় অধিষ্ঠান।
শিবরাত্রি ব্রতকথা অমৃত সমান,
সুললিত ছন্দে লিখে লক্ষ্মণ শ্রীমান।