কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর 'কাগজের ফুল' কবিতায় 'কবিতার পাঠশালা' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এই কবিতায় কবি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে চলছে কবিতার পাঠশালা। এটি কবিমনের এক পান্থশালা, যেখানে বিশ্বের মাটি ফুঁড়ে বের হয় লক্ষ লক্ষ কবিতার চারা।

'কাগজের ফুল' কবিতার কিছু লাইন:

আমার ও আমাদের সবাকার।
বাংলা কবি ও কবিতার আসর আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকুক।
কবিতার আসর- সে তো আসর শুধু নয়। কবিতার পাঠশালা।
এই পাঠশালা, যেন কবিমনের এক পান্থশালা।
এই পান্থশালায় বিশ্বের মাটি ফুঁড়ে বের হয় লক্ষ লক্ষ কবিতার চারা।
কবিদের প্রাণের পরশে সেই সব চারাগাছে ফুটে কবিতার ফুল।
ফুল ঝরে যায় শেষে একদিন। কিন্তু কবিতার ফুল ঝরে যায় না।


এসে গেল মাঘ মাস ........শীতকাল সমাপন
শীতের সমাপ্তি কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শীতের বিদায় কাল এল মাঘ মাস,
মৃদু মন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস।
পূরবে অরুণ রবি ছড়ায় কিরণ,
আজ আর শীত নাহি বহে সমীরণ।

তরুশাখে বিহগেরা করিছে কূজন,
বিহগের গান শুনে ভরে উঠে মন।
ফুলবনে ফুলশাখে ফুটে ফুলকলি,
গুঞ্জরিয়া দলেদলে আসে যত অলি।

রাঙাপথে গরুগাড়ি চলে সারি সারি,
দুই ধারে নারিকেল তাল ও সুপারি।
রাখাল গরুর পাল নিয়ে যায় মাঠে,
মাঠে মাঠে সারাদিন তার বেলা কাটে।

অজয়ের নদীঘাটে পড়ে আসে বেলা,
অবশেষে সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।
সাঁঝের সানাই বাজে শুনি পেতে কান,
কবিতা লিখিল কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।