শিউলি মূলত শরৎ ঋতুর ফুল। তবে বছরের অন্য ঋতুতেও গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুল ছোট, সুগন্ধযুক্ত। কোমল এ ফুলে ছয়টি পাপড়ি থাকে, পাপড়ির রঙ সাদা হলেও বোঁটার অংশ কমলা রঙের এবং পাপড়ির সংযোগ স্থল বৃত্তাকার কমলা রঙে বিস্তৃত থাকে।
রাতের রাণী বলে খ্যাত শিউলি ফুল রাতের বেলা ফোটে এবং সকালে ঝরে পড়ে। ভোরে শিউলি গাছের তলা সাদা ফুলে ফুলে ভরে যায়। গ্রামাঞ্চলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ফুল দিয়ে মালা বানিয়ে গলায় পরে।
শিউলি ফুলের সৌন্দর্য আর মিষ্টি ঘ্রাণে বাগান, উন্মুক্ত স্থান ও বসতবাড়ির আঙিনা মেতে ওঠে। সকালে শিশির মাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। শিউলি মূলত শরতেরই ফুল।
শরতের আগমনে ..........টগর ফুটিল বনে
শরতের আগমনী কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফুটিল শিউলি টগর ও বেলি
শরতের আগমনে,
মাধবী মল্লিকা চামেলি যুঁথিকা
ফুল ফুটে বনে বনে।
শিউলির ঘ্রাণে সাড়া জাগে প্রাণে
শারদ প্রভাত বেলা,
আঙিনার পরে সোনা রোদ ঝরে
শালিকেরা করে খেলা।
নয়ন দিঘিতে আসে জল নিতে
মুখ ঢাকি ঘোমটায়,
রাঙাপথ ধরে রাঙা শাড়ি পরে
রাঙাবধূ ঘরে যায়।
গগনে গগনে ভাসে আনমনে
সাদা মেঘেদের সারি,
চাঁপাতলা মাঠ ছাড়ি নদীঘাট
ছুটিছে গরুর গাড়ি।
অজয়ের চরে বেলা আসে পড়ে
রবি আলোক লুকায়,
হেরি দৃশ্যায়ণ লিখিল লক্ষ্মণ
শরতের কবিতায়।