পূজা যত আসে কাছে....পুলকে হৃদয় নাচে
শরতের আগমনী কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শিউলি ও শেফালি দুটো নামই লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। ‘ শেফালী বনের মনের কামনা’, ‘শিউলি ফুল, শিউলি ফুল, কেমন ভুল, এমন ভুল’, ‘শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি……শিউলি বনের বুক যে ওঠে আন্দোলি’, ‘শিউলী বনের উদাস বায়ু পড়ে থাকে তরুতলে এই গানগুলো শিউলির মতোই সুরভিত হয়ে আছে শ্রোতাদের কাছে। শিউলি কেবল কবিদেরই বিমুগ্ধ করেনি, তার অসংখ্য মুগ্ধ অনুরাগী যুগে যুগে।

শরতের সকালে শিশিরমাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু হেমন্তের প্রভাব বাড়ছে প্রকৃতিতে। সন্ধ্যা ও ভোরে এখন বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ও কুয়াশা বা শিশির পড়া শুরু হয়ে গেছে। আসলেই শরৎ বাংলাদেশের কোমল, স্নিগ্ধ এক ঋতু। শিউলি ফুল প্রত্যেক মানুষের কাছে খুব প্রিয়। বিশেষত, বাঙালির কাছে তো খুবই প্রিয়। কারণ, এই ফুল ফুটলে বোঝা যায় শরৎ এসেছে। শরৎ ঋতুর রয়েছে স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য।

শিউলি আর কাশ ফুলের মিলিত প্রকাশ মানেই এটা শরৎকাল। আর শরৎকাল মানেই শিউলির গন্ধ, কাশ ফুলের মেলা, সব মিলিয়ে আকাশে বাতাসে উৎসবের ছটা। শোনা যায় মায়ের পদধ্বনি । প্রত্যেক বাঙালির কাছে শিউলি ফুল, কাশ ফুল আর শরৎ কালের একটা আলাদাই গুরুত্ব আছে।

বাংলা কবিতার আসরের সকল শ্রদ্ধেয় কবিগণকে জানাই শারদ-শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতা-আসরের জয় হোক, বাংলা কবিতার জয় হোক, কবিদের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

পূজা যত আসে কাছে....পুলকে হৃদয় নাচে
শরতের আগমনী কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সোনা রোদ হাসে সাদা মেঘ ভাসে
নীল আকাশের গায়,
শরৎ এলো রে বসুন্ধরা পরে
শিউলিরা ঝরে যায়।

শিশিরে শিশিরে শিউলির ফুলে
সোনাঝরা রোদ ঝরে,
কমল কাননে ধায় অলিগণে
দলে দলে সরোবরে।

অজয়ের পারে হেরি দুইধারে
কাশফুল ফুটে রয়।
আকাশের গায় চিল উড়ে যায়
কুলু কুলু নদী বয়।

রাখালিয়া সুরে বাঁশি বাজে দূরে
হৃদয়ে পুলক জাগে,
অরুণের রাগে ফুল বাগে বাগে
শরতের রং লাগে।

শরতের শোভা, অতি মনলোভা
সবুজের অভিযান,
আকাশে বাতাসে শুধু ভেসে আসে
নব আগমনী গান।