দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্র পরিধান করে দেবীর সামনে অবস্থান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগে পর্যন্ত দেবীর মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর পাশাপাশি দেবীর পূজার আরেকটি প্রধান অংশ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।



আসুন, বাংলা কবিতা আসরের আমরা সকলেই আজ বাণী-বন্দনায় রত হই। আমাদের সকলের মিলিত সাহচর্যে পূজা উপাসনায় সার্থক হোক দেবীর বন্দনা। দেবীর আরাধনা। দেবীর স্তুতি। বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক।

সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)

=================

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।

বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।

বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।

এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।



প্রনাম মন্ত্র

=======

নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।

বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।

জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।

বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

সরস্বতীর স্তব

=======

শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।

শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।

শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।

শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারব‌ভূষিতা

বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।

পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।

স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।

যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।

**********

সরস্বতী বন্দনা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাঘমাস শুক্লপক্ষে শ্রীপঞ্চমী তিথি,
ছাত্রছাত্রী করে পূজা দেবী সরস্বতী।
পত্রেপুষ্পে সুশোভিত বিদ্যা-নিকেতন,
মৃত্তিকার বেদী পরে প্রতিমা স্থাপন।

শ্বেতবস্ত্র পরিধানা হাতে বীণা ধরা,
শ্বেত অলঙ্কারে দেবী অতি মনোহরা।
প্রণমামি সরস্বতী তুমি মা ভারতী,
তব শ্রীচরণে যেন থাকে মম মতি।

মাটির মঙ্গল ঘট তাহে ডাব রাখা,
দেবীর সম্মুখভাগে আলপনা আঁকা।
শঙ্খ ঘন্টা ধূপ দীপ সুগন্ধি চন্দন,
পুষ্পাঞ্জলি দেয় সবে হয়ে শুদ্ধমন।

তুমি মাতা বিদ্যাদাত্রী কহি জোড়করে,
প্রণমামি বীণাপানি বিদ্যা দাও মোরে।
পূজান্তে প্রসাদ ভোগ হয় বিতরণ,
দেবীর বন্দনা কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।

**********

বাণী-বন্দনায় কবিতা আসর
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বিদ্যা-অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি সরস্বতী,
প্রণাম জানাই আমি মাতা তব প্রতি।
শ্বেতাম্বরা তুমি মাগো তুমি বীণাপানি,
শ্বেত পদ্মাসনা দেবী বিদ্যা প্রদায়িনী।

বাণী-বন্দনায় রত শিক্ষার্থী সকলে,
করয়ে বন্দনা তব ভক্তি শতদলে।
অসীম মহিমা তব করুণা অপার,
বাগদেবী বীণাপানি বিদ্যার আধার।

হংসযুক্ত রথপরে হাতে বীণা ধরা,
শুক্লাম্বরা তুমি শ্বেত আভরণে ভরা।
ধূপ-দীপ জ্বালি সবে ভক্তিযুক্ত মনে,
পুষ্পাঞ্জলি দেয় সবে দেবীর চরণে।


কবিতা আসরে হেরি যত কবিগণ,
লিখেন কবিতা তব পূজিয়া চরণ।
প্রণমামি সরস্বতী বিদ্যা দাও মোরে,
কহয়ে লক্ষ্মণ কবি দুই হাত জোড়ে।

**********

দেবী বন্দনা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষ, শ্রীপঞ্চমী তিথি,
সরস্বতী পূজা হয় ধূমধাম অতি।
ধান্যদূর্বা, আম্রশাখা, সুগন্ধি চন্দন,
ঘৃত, মধু, গঙ্গাজলে দেবী আবাহন।

দেবীর গলায় শোভে, শ্বেত ফুল মালা,
ফল ফুল, বড় কুল, প্রসাদের থালা।
গুড় দুধ চিঁড়া দই, নারকেল কলা,
শাঁকালু বাতাবি লেবু, আপেল কমলা,

পূজারি ব্রাহ্মণ এক বসিয়া আসনে,
করিছেন মন্ত্রপাঠ, শুদ্ধ ভক্তি মনে।
চারিপাশে আছে বসে, যত শিশুগণ,
পুষ্পাঞ্জলি দেয় সবে, হয়ে শুদ্ধ মন।

বাক্ দেবী বীণাপানি, প্রণমি তোমায়,
বিদ্যাদায়িনী দেবী, বিদ্যা দাও আমায়।

**********

বানী বন্দনা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাঘ মাস, শুক্ল পক্ষে, বসন্ত পঞ্চমী,
বিদ্যাদেবী বীণাপানি, তোমারে প্রণমি।
হংসযুক্ত রথ পরে, চড়িয়া বিমানে,
আবির্ভূতা হন দেবী, এই ধরাধামে।


আমার কণ্ঠেতে মাগো দেহ তব সুর,
যে সুরে জিনেছ মাগো, ঊর্দ্ধ সুরপুর।
আমার মস্তকে দেহ চরণ কমল,
লিখিতে পারি মা যেন কবিতা সকল।


কবি আমি, গেয়ে যাই দেবীর বন্দনা,
শ্বেত বীণা ধরা দেবী, শ্বেত আভরণা।
অপার মহিমা তব বিদিত ভুবন,
বাল্মিকী রচিয়াছেন কাব্য রামায়ণ।


বিশ্ব চরাচর সবে করিছে আহ্বান।
তুমি বিদ্যাদায়িনী মা, বিদ্যা কর দান।

**********

বসন্ত পঞ্চমী (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বসন্ত পঞ্চমী তিথি দেবী আরাধনা,
বিদ্যার আলয়ে হয় দেবীর বন্দনা।
বিদ্যা অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি বীণাপানি,
শুভ্র বস্ত্রে সুসজ্জিতা, বিদ্যা-প্রদায়িণী।

তব করুণায় কবি হন কালিদাস,
লিখিলেন মহাকাব্য কবি বেদব্যাস।
রামায়ণ লিখিলেন হইয়া তস্কর,
রত্নাকর হইলেন রত্নের আকর।

শ্বেত আভরণা দেবী বীণাযন্ত্র হাতে,
হংস বাহনা দেবী আসেন ধরাতে।
শঙ্খ ঘণ্টা ধুপ দীপ নানা উপচার,
দেবী গলে সুশোভিত শুভ্র পুষ্পহার।

আলপনা হয় আঁকা হেরি চারিভিতে
দেবী স্তুতি পূজা পাঠ হয় বিধিমতে।
রাখ শ্রী-চরণ মাগো মস্তক উপর।
দেহ জ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি, মাগি এই বর,

পুষ্পাঞ্জলি শেষে হয় প্রসাদ বণ্টণ,
কবিতা লিখেন কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

**********

বাণী বন্দনা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বিদ্যা অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি মা ভারতী,
বিদ্যাদায়িনী মাতা তুমি সরস্বতী।
হংসবাহনা দেবী চড়িয়া বিমানে,
আবির্ভূতা হন দেবী এই ধরাধামে।

বাগদেবী বীণাপানি শ্বেত বীণা ধরা,
শ্বেত আভরণা দেবী রূপে মনোহরা।
বসন্ত পঞ্চমী তিথি পূণ্য শুভক্ষণে,
দেবী আরাধনা হয় ভক্তিযুক্ত মনে।

সম্মুখে মঙ্গল ঘট তাহে আম্র শাখা,
তদুপরি নারিকেল নববস্ত্র রাখা।
সুগন্ধি চন্দন মধু ঘৃত গঙ্গাজল,
ফুলমালা ধূপদীপ নানাবিধ ফল।

হোমযজ্ঞ পূজাপাঠ অঞ্জলি প্রদান,
বিদ্যাদায়িনী মাগো বিদ্যা কর দান।
অন্তিমে প্রসাদ ভোগ হয় বিতরণ,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

**********

সারা বিশ্ব জুড়ে ভালবাসা দিবস উদযাপন করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি।  তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি মাসেই ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। সে দিনটি মাসের ১৪ তারিখই।

প্রতি মাসের এই বিশেষ দিনটির আলাদা আলাদা নামও রয়েছে। ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও বিষয়টা হচ্ছে ভালোবাসা প্রকাশ। যেমন ১৪ জানুয়ারি দিনটি ‘ডায়েরি দিবস’। কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারছেন না, এদিন পছন্দের মানুষকে শূন্য ডায়েরি উপহার দিলেই হলো! ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কোরিয়াতেও তা-ই। এই দিনে কোরীয় নারীরা প্রেমিকের হাতে চকলেট বা গোলাপ তুলে দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

১৪ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘হোয়াইট ডে’। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রেমিকাকে চমকে দেওয়ার দিন এটি। তাঁরা সঙ্গীর জন্য দামি উপহার নিয়ে হাজির হন। আবার ১৪ এপ্রিল কোরীয়দের কাছে ‘ব্ল্যাক ডে’। আক্ষরিক অর্থে দিনটি কিন্তু কালো নয়! ব্যাপারটা হলো, এদিনে পছন্দের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয় কালো পোশাক পরে। তারপর ঐতিহ্যবাহী খাবার খান তাঁরা। ‘ইয়েলো ডে’ পালন করা হয় ১৪ মে। কোরিয়ার ছেলেরা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য এদিনে পছন্দের মানুষকে হলুদ গোলাপ উপহার দেন। তবে অন্য রঙের গোলাপ দেওয়ার চলও আছে।

জুন মাসের ১৪ তারিখ দিনটি কোরীয়দের কাছে ‘চুম্বন দিবস’। প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে গভীরভাবে জানেন দিনটিতে। ১৪ জুলাই প্রেমিক-প্রেমিকা আংটি বিনিময় করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটিকে বলা হয়—‘সিলভার ডে’।
১৪ আগস্ট দিনটি কোরিয়ার প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে সবুজ দিন। একসঙ্গে রাস্তায় হাঁটেন তাঁরা।

১৪ সেপ্টেম্বর প্রেমিক-প্রেমিকারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যান এবং ছবি তোলেন, যা স্মৃতি হিসেবে রেখে দেন ভবিষ্যতের জন্য। ১৪ অক্টোবর প্রেমিকারা প্রেমিকের সামনে হার না–মানার সংকল্প নিয়ে বিয়ার পান করেন। ১৪ নভেম্বর পালিত হয় সিনেমা দিবস হিসেবে।  সবশেষে ১৪ ডিসেম্বর হলো ‘আলিঙ্গন দিবস’।  বছরটা ভালোয়-ভালোয় শেষ করার প্রত্যয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার লোকেরা।

ভালবাসার সাথে ভালবাসা দিয়ে সকলেই ভাল থাকুন, প্রত্যাশা রাখি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সকলকে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।”জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

ভালবাসা দিবসের কবিতা ( প্রেমের কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

পূবের আকাশে রাঙা রবি হাসে
ছড়ায় সোনার আলো,
বিশ্ব ভালবাসা দিবসে আজিকে
সাথীরে বাসিব ভালো।

সারা জীবনের তুমি প্রিয়সাথী
তুমি মম প্রাণ প্রিয়া,
তোমার হৃদয় করিব যে ক্রয়
একটি গোলাপ দিয়া।

গোলাপ বকুল পলাশ শিমূল
সুগন্ধ ছড়ায় বনে,
কোকিলেরা গায় আমের শাখায়
বসন্তের আগমনে।

কমল কাননে মধু আহরণে
রত সদা মধুকর,
আজিকার দিনে তব প্রেম বিনে
ব্যথিত হয় অন্তর।

কাছে এসো প্রিয়া হাতে হাত দিয়া
কহ শুধু একবার,
আমি যে তোমার তুমি যে আমার
মম জীবনের সার।

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে আজিকে
তুমি প্রিয়তমা মম,
কহে অনুক্ষণ কবি শ্রীলক্ষ্মণ
আমি তব প্রিয়তম।

মোর পাশে আসি মোরে ভালবাসি
লভিয়াছ মম মন,
তুমি প্রিয়তমা রূপে অনুপমা
কহে কবি শ্রীলক্ষ্মণ।

**********

অভিশপ্ত ভ্যালেন্টাইন ডে (ভালবাসা দিবসের কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শান্তির সংসারে অশান্তির আগুন
জ্বেলে দেয় তিমির রাত্রি নিশীথে,
রোদন ভরা বসন্তে আজি ফাল্গুন
কেঁদে মরে তাই ব্যথা ভরা চিত্তে।

শান্তির সংসারে ঐ অশান্তির ঝড়
ছিন্নভিন্ন করে দেয় দুঃস্বপ্নের নীড়।
বেদনার বালুচরে বেঁধেছি যে ঘর
নীরবে ঝরায় অশ্রু রাত্রির শিশির।

শান্তির সংসার দুঃখের অনলে
জ্বলে পুড়ে সুখ শান্তি ভালবাসা।
সুখের সংসার অশান্ত দাবানলে
ঝলসিয়া উঠে মুকুলিত নবআশা।

বারুদের গন্ধে বিষাক্ত বিদ্রোহীমন
ভালবাসার নদীতে ভাসে মৃতদেহ,
শাণিত করাত করে মস্তক ছেদন
নীরবে অশ্রু ঝরায় প্রেম প্রীতি স্নেহ।

যুবতীর শরীরেতে গুলিবিদ্ধ বুলেট
কেড়ে নেয় মান সম্ভ্রম আর ইজ্জত।
কাল চাদরে ঢাকি জ্বলন্ত সিগারেট,
ধোঁয়াশা করে তুলে প্রকাশ্য রাজপথ।

হত্যায় রচিত এই ধরিত্রীর ধূলিতে
অশ্রুতে লেখা হয় রক্তাক্ত ইতিহাস।
ভ্যালেন্টাইন দিবসে রক্তিম প্রভাতে,
ভালবাসার নদী বয় কর্তব্যের লাশ।

অভিশপ্ত ভালবাসা নাহি লাজ-লজ্জা,
সুখ শান্তি ভালবাসা মাথা কুটে মরে।
কবির লেখনী শিশিরে পাতিয়া শয্যা
বিরচিল লক্ষ্মণ কবি কবিতার পরে।