ফুলের উচ্ছ্বাসে হাসছে আকাশ, কাঁপছে বাতাস, দুলছে আম্রমুকুল। অকারণের সুখে অলক্ষ্যে রঙ লাগছে অশোকে-কিংশুকে। মেঠোপথের ধারে কারও জন্য অপেক্ষা না করেই ফুটছে নাম না-জানা অসংখ্য সব ফুলেরা। তরুণ মনে বিহ্বলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে কোকিলের ডাক।
সে সুরের আবেগে প্রকৃতিতে বসন্তের রঙ লেগেছে ক’দিন ধরেই- তবে দিনপঞ্জির হিসাবে তার অভিষেক আজকের নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে।
ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের রঙে মেতে ওঠে তরুণ হৃদয়, নতুন করে প্রাণ পান প্রবীণেরা। বসন্তে শুধু প্রকৃতিই নয়, হৃদয়ও রাঙা হয়ে ওঠে। বসন্ত তাই অনেকের কাছে ‘প্রেমের ঋতু’। সে ঋতুতে চোখে নেশা লাগে, দিক ভুল হয়; বাসনা বিলাসে বাড়ে আশা, বৃদ্ধি পায় মনের সুপ্ত তিয়াশা।
মায়াময় বসন্ত সবাইকে কেড়ে নেয় নিজের ভালবাসার মোহে। যেন প্রেমিকা তার প্রেমিককে মায়া বন্ধনী দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে, তেমনি নব ফাগুন সবাইকে নিজের মায়ামন্ত্রে আচ্ছন্ন করে রাখে। নব বসন্ত বাঙালির প্রাণে নতুনত্বে প্রাণ সঞ্চার করুক এটাই হোক বসন্ত বরণের অভিপ্রায়। আসুন, আমরা সবাই নব বসন্তের রঙে রাঙিয়ে তুলি নিজেদের। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
পত্র আর পুষ্পে সাজি বসন্ত আসিল আজি
নব বসন্তের কবিতা (তৃতীয় পর্ব)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বসন্ত এলো রে
এই ধরা পরে
শিমূল পলাশ বনে,
এসেছে ফাগুন,
ধরেছে আাগুন
রং লাগে দেহে মনে।
এসেছে ফাগুন
ধরেছে আগুন
এলো রে বসন্ত আজি,
পবন পরশে
মনের হরষে
দুলিছে কুসুম রাজি।
আম্র তরুশাখে
কোকিলেরা ডাকে
ভরে ওঠে মন প্রাণ,
কুসুম কাননে
ধায় অলিগণে
গুঞ্জরিয়া অবিরাম।
অজয়ের চরে
সোনা রোদ ঝরে
বসন্তে গাহিছে পাখি,
কহে কবি শ্রীলক্ষ্মণ
এসো এসো কবিগণ
নব বসন্তের রং মাখি।