অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিস্থলে করা হয় সন্ধি পূজা। মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধি পূজা করা হয়। কথিত আছে, মহিষাসুর বধের সময় সন্ধির এই ক্ষণেই দেবী দুর্গা চামুণ্ডা বা কালীমূর্তির রূপ ধারণ করেছিলেন। সন্ধি কথার অর্থ হল ‘মিলন’। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো। এই দুই তিথির মহামিলনের সময়কে ‘মহাসন্ধিক্ষণ’ বলা হয়। এই পুজো করার অর্থ হল রাগ, অভিমান সব ভুলে একসঙ্গে থাকা।

শারদীয়া দুর্গাপূজা জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন। তাই বাংলা কবিতা আসরের সকল  কবি ও সহৃদয় পাঠকবৃন্দকে জানাই শারদীয়া দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতার জয় হোক, কবিগণের জয় হোক। জয়গুরু!!!

মহাশক্তির আরাধনা  দুর্গা দেবী বন্দনা
শ্রী শ্রী মহাঅষ্টমী পূজা (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মহা অষ্টমীর পূজা বিদিত ভুবনে,
অষ্টমী বিহিত পূজা হয় শুভক্ষণে।
শঙ্খঘন্টা ধূপদীপ প্রসাদের থালা,
সম্মুখে মঙ্গল ঘট তাহে ফুলমালা।

সুগন্ধি চন্দন আর ধূপ দীপ মালা,
ফলমূল মিষ্টিদ্রব্য প্রসাদের থালা।
অষ্টমীর সন্ধিপূজা বিহিত বিধান,
অষ্টোত্তর শত নীল কমল প্রদান।

অষ্টমীতে উপবাস সারাদিন ধরে,
পুরোহিত মন্ত্রপাঠ করে ভক্তিভরে।
পুষ্পাঞ্জলি দেয় সবে উপবাসীগণ,
শক্তি আরাধনা করে মঙ্গল কারণ।

ঢাকীরা বাজায় ঢাক উচ্চ কলরবে,
পূজার মণ্ডপে নাচে শিশুবৃদ্ধ সবে।
সন্ধিক্ষণে হয় পূজা সন্ধিপূজা কয়,
অষ্টমীর সন্ধিপূজা বিধি মতে হয়।

সন্ধিক্ষণে দিতে হয় ছাগ বলিদান,
পশুরক্তে দেবীপূজা শাস্ত্রের বিধান।
শোন শোন গ্রামবাসী আমার বচন,
বলি দিয়ে কর পূজা কহিছে লক্ষ্মণ।

***********

মহাশক্তির আরাধনা ......... দুর্গাদেবী বন্দনা
শ্রী শ্রী মহানবমী পূজা (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মহা নবমীর পূজা খ্যাত চরাচরে,
হাসি খুশি কলরব সারাদিন ধরে।
পূজার মণ্ডপে জমে ভিড় চারিধার,
বিধিমতে পূজা হয় শাস্ত্র অনুসার।

মন্দিরেতে পুরোহিত বসিয়া আসনে,
করিছেন মন্ত্রপাঠ ভক্তি শুদ্ধ মনে।
সুগন্ধি চন্দন ধূপ বরণের ডালা,
দেবীর সম্মুখে ঘটে থাকে ফুলমালা।

হোম যজ্ঞ পূজাপাঠ শাস্ত্রের বিধান,
যজ্ঞ শেষে যূপকাষ্ঠে ছাগ বলিদান।
পশুরক্তে দেবীপূজা এ কেমন পূজা,
ছাগ বধে তুষ্ট নাহি হন দশভূজা।

শুন শুন বিশ্ববাসী বচন আমার,
পশুহত্যা বন্ধ হোক কহিলাম সার।
রক্তসিক্ত দেবালয় মন্দির প্রাঙ্গণ,
মহা নবমীর কাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।