আজ মে দিবস। আসুন, আজ আমরা লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, সেই সব শ্রমিক, কৃষক আর মেহনতী মানুষ যাদের চোখের জলের দাম কেউ দিতে পারে না, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সবাই একসাথে সম্মিলিতভাবে সংগ্রাম করি। তাদের দিই মানবিক মর্যাদা। অথবা দুবেলা দুমুঠো খেতে না পাওয়া অনাহারী মানুষগুলোর পাশে এসে সহানুভূতির পরশ দিয়ে তাদের বাঁচার ঠিকানা বলে দিই। সকলে সুস্থ থাকুন, রোগমুক্ত জীবনযাপন করুন এই প্রত্যাশা। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
মে দিবসের রক্তিম কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
জাগো রে শ্রমিক, জাগো রে কৃষক
জাগো ওগো সর্বহারা,
আধপেটা খেয়ে কল-কারখানায়
হাতুড়ি চালায় যারা।
যাদের রক্তে কান্না আর ঘামে
কারখানায় চাকা চলে,
উষর মাটিতে লাঙল চালায়
রোদে পুড়ে ভিজে জলে।
ওরাই মানুষ, ওরাই দেবতা
গাও ওদের জয়গান,
মে দিবসের অরুণ প্রভাতে
দাও ওদের সম্মান।
এই বসুধায় সকলেই আজ
মালিক, শ্রমিক চাষী,
সবাই সমান বড় কেউ নয়
দেখো চেয়ে বিশ্ববাসী।
সাম্যবাদের জয়গানে আজ
মেতেছে বিপুল ধরা,
বাঁচার লড়াই দিকে দিকে আজ
মৃত্যু কোলাহলে ভরা।
জীবন মৃত্যুর সংগ্রামে আজ
বন্ধু এগিয়ে দাও হাত,
অনাহারী যারা পথে বসে কাঁদে
দাও এক মুঠো ভাত।
একটি রুটি পেতে চায় মানুষ
করিছে মানুষ সংগ্রাম,
ক্ষুধাতুর শিশু ক্ষুধায় কাঁদিছে
কে দেবে কান্নার দাম?
ক্ষুধার অন্ন কেড়ে খায় যারা
দেশেতে আনে আকাল,
শ্রমিক কৃষক গৃহে বসি কাঁদে
স্বদেশের এই হাল।
রক্ত নিশান হাতে লয়ে যারা
লড়েছিলো একদিন,
আজিকে তারা মৃত্যু কবলিত
শোধ করো মৃত্যুঋণ।
লালে লাল হয়ে উঠেছে তপন
কৃষক শ্রমিকের খুনে,
বিদ্বেষের বিষে স্বদেশ ছেয়েছে
মৃত্যুরই জাল বুনে।
মে দিবসের সবুজ সুপ্রভাতে
তুলে ধরো রক্ত নিশান,
জাগো শ্রমিক জাগো দিনমজুর
জাগো রে শ্রমিক কিষাণ।