ঘর পরিচ্ছন্ন করে সেখানে ধানের শিষের আদলে আল্পনা দেওয়ার রীতি রয়েছে। মনে করা হয়, সেই পথ অনুসরণ করেই লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন। পুজোয় ফলমূলের সঙ্গে চিঁড়ে ও নারকেল প্রয়োজন। আলপনায় থাকতে হবে ঝাঁপি, আয়না, চিরুণির ছবি। অনেকে তা সরায় লক্ষ্মীমূর্তির সঙ্গেই রাখেন। এছাড়াও কলা গাছের খোল দিয়ে বানাতে হয় বাণিজ্যতরী। তাতে অর্থ, মুদ্রা রাখার নিয়ম রয়েছে।
বাংলা কবিতার আসরের সকল কবিগণ ও সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণকে জানাই কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!!!

লক্ষ্মীদেবী আবাহন....... এসো মা লক্ষ্মী   কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা  প্রথম পর্ব
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নমঃ নমঃ লক্ষ্মীদেবী তুমি মা জননী,
ঐশ্বর্য বৈভব আদি সৌভাগ্য দায়িনী।
প্রণমি তোমায় মাগো এস মোর ঘরে,
জন্ম জন্ম থাকো মাগো বর্ষ বর্ষ ধরে।

দেবীর সম্মুখে ঘট তাহে আম্র শাখা,
আলয়ের চারিপাশে আলপনা আঁকা।
কমলা, কদলী, শশা, নারিকেল আর,
সুমিষ্টান্ন ফল আদি বিবিধ প্রকার।

ধান্য দূর্বা দিয়ে ঘটে গঙ্গাজল ভরে,
সুগন্ধি চন্দন দিয়ে লক্ষ্মীপূজা করে।
পূজান্তে অঞ্জলি দেয় যত এয়োগণ,
খিচুড়ি প্রসাদ ভোগ করে বিতরণ।

জয় মাগো লক্ষ্মীদেবী তুমি মা কমলা,
মোরঘরে থাক সদা তুমি যে চঞ্চলা।
করযোড়ে ডাকে কবি এস মোর ঘরে,
লিখিল লক্ষ্মণ কাব্য মা লক্ষ্মীর বরে।