কৌশিকী অমাবস্যা ও মাতৃসাধনা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কৌশিকী অমাবস্যায় ঘোর অন্ধকার,
খুলে যায় স্বর্গ আর মর্ত্যের দুয়ার।
আজিকার অমাবস্যা পূণ্য শুভক্ষণে,
রক্তজবা দেহ তারা মায়ের চরণে।

আলতা সিঁদুর শাঁখা শ্রীচরণে দিলে,
অভীষ্ট পূরণ হয় মাতৃ কৃপা মিলে।
রক্ত চন্দনে চর্চিত চরণ দুখানি,
করহ চরণ পূজা কহিলাম আমি।

শুন সবে না করিবে আমিষ ভক্ষণ,
পেঁয়াজ রসুন আদি করিবে বর্জন।
শুদ্ধ হয়ে মাতৃ পূজা কর ভক্তজন,
নিশ্চয় জানিহ হবে অভীষ্ট পূরণ।

মাটির প্রদীপ দুটি তিল তৈল দিয়ে,
সন্ধ্যার সময় দ্বারে রাখিবে জ্বালিয়ে।
রাত্রি বার ঘটিকায় জপ তারা নাম,
মায়ের কৃপায় পূর্ণ হবে মনস্কাম।

সুগন্ধি চন্দন ধূপ আর দীপমালা,
সম্মুখে মঙ্গল ঘট প্রসাদের থালা।
নাহি জানি মন্ত্র তন্ত্র বীজমন্ত্র সার,
নিজগুণে ক্ষমা কর তারামা আমার।

রক্তজবা মালা দিয়ে দেবী চতুর্ভূজা,
মাতৃ সাধক লক্ষ্মণ করে মাতৃপূজা।
জয়তারা কহি করে দেবী আবাহন,
মাতৃপূজা করে কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।