কবির সাধনা কাব্য আরাধনা
(কবির তিন সহস্রতম প্রয়াস)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দিবারাতি কত লিখি অবিরত
কবিতার জাল বুনি,
ব্যথিতের ব্যথা করুণ কবিতা
কান পেতে আমি শুনি।
দুঃখে আর শোকে ক্ষুধিতের চোখে
অশ্রু বহে নিরন্তর,
দেখেছি আমি যে ঝড়ে ভেঙে গেছে
কত মানুষের ঘর।
আমি যে দেখেছি সতীনারী হেথা
পায় নাকো সুবিচার,
সতীনারী হেথা, জ্বলে পুড়ে মরে
দেশ জুড়ে হাহাকার।
লেখনী আমার হয়ে ক্ষুরধার
কবিতায় কথা বলে,
কভু সে অশান্ত কভুবা দূর্দান্ত
লিখে রাখে প্রতি পলে।
কবির সাধনা কাব্য আরাধনা
সাজানো বরণ ডালা,
কাব্য উপহার কবিতা আমার
কবিতা ফুলের মালা।
আমার কবিতা প্রভাতী সবিতা
ফুলশাখে ফুল কলি,
কবিতা কাননে মধু আহরণে
ধেয়ে আসে যত অলি।
কবিতার গাছে ফুল ফুটে আছে
শোভা অতি মনোহর,
মোর কবিতারা কাশফুলে ভরা
অজয় নদীর চর।
আজিকে আমার কাব্য উপহার
ফুটন্ত গোলাপ সম,
কাব্য অনুপম করিয়া বর্ণন
লিখিনু কবিতা মম।
কবিতা আমার কাব্য সাধনার
ভাষা ছন্দ অলঙ্কার,
করিয়া যতন লিখিল লক্ষ্মণ
নব কাব্য উপহার।
কবির কল্পনা জীবন সাধনা
পৃথিবী কবিতাময়,
গীতি কবিতায় কবি সুরে গায়
গাহে কবিতার জয়।
কবিতার পাতায় কিরণ ছড়ায়
প্রভাতের সোনা রবি,
তিন সহস্রতম কাব্য অনুপম
লিখিল লক্ষ্মণ কবি।