জাগো নারী জাগো (নারী জাগরণের দ্বিতীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।

কান পেতে শুনি কাঁদে কারা ঐ লাঞ্ছিতা মায়ের দল,
রাতের আঁধারে মৃত্য-ফাঁদ পেতে কারা হাসে খলখল?
মোছ আঁখিজল আগুন জ্বলুক, নারীজাতি জাগে আজ,
অসুর সংহারে ছুটে এসো নারী ভুলে যেতে হবে লাজ।

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।

সারাদেশ জুড়ে নারীজাতি আজ বিষাদ ব্যথায় জাগে,
মুছে ফেলো কালো আঁধার যামিনী সূর্য ওঠার আগে।
মরিছে নারীরা অভিমান নিয়ে ত্যজি পৃথিবীর মায়া,
সেইদিন হতে নিখিলজগতে নেমেছে শোকের ছায়া।

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।

অপমানিতের দারুণ বেদনা ভেঙে গেছে জাতির মজ্জা,
প্রিয়াংকাদের সম্ভ্রমহানি জাতীয় জীবনে নিদারুণ লজ্জা।
কান পেতে শোন হাসে কারা ওই ধর্ষক পশুদের দল,
ওদের নির্যাতনে নির্যাতিতা নারীর চোখ করে ছলছল।

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।

দেশের মাটিতে লাঞ্ছিতা নারী, নারীজাতির অপমান,
নারীর অপমান জাতির অপমান দাও নারীর সম্মান।
সারা দেশ জুড়ে নারী নির্যাতন নারী জাতির লাঞ্ছনা,
নারীর সম্ভ্রম ভুলুণ্ঠিত আজি নারীর চরম অবমাননা।

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।

দিকে দিকে চলে নারীহত্যা আর দেশজুড়ে গণধর্ষণ,
নারীধর্ষণ জাতির লজ্জা কে বাঁচাবে নারীদের সম্ভ্রম?
বিদ্রোহী কবির প্রতিবাদী কলম লিখে নারীর জয়গান,
কে আছো জোয়ান করি আহ্বান বাঁচাও জাতির মান।

তুমি কি শুনেছো কভু? নারীর কণ্ঠে বজ্রের হুঙ্কার?
আমি যে শুনেছি নারীদের শুধু ভাষাহীন চিত্কার।