গাঁয়ে আছে ছোট ঘর .........সীমানায় নদীচর
আমার গাঁয়ের কবিতাগুচ্ছ (নবম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মাটিতে নিকানো ঘর প্রভাতে রবির কর
ঝরে পড়ে মাটির উঠানে,
সকালে উঠিল রবি পূরবে সোনালী ছবি
চাষীবৌ ঢেঁকিতে ধান ভানে।

আমাদের ছোট গাঁয়ে শীতল তরুর ছায়ে
ছোট ছোট মাটির কুটির,
উঠোন বাঁশের বেড়া চরিছে ছাগল ভেড়া
উঠোনেতে মাটির প্রাচীর।

ভোরে গাঁয়ের রাখাল নিয়ে যায় গরুপাল
চাষীভাই মাঠে ধান কাটে,
মরাল মরালী জলে মেতে ওঠে কোলাহলে
গাঁয়ের কাজল দিঘিঘাটে।

পথ গেছে এঁকে বেঁকে বধূরা অজয় থেকে
জল নিয়ে নিজ ঘরে যায়,
হাট বসে রবিবারে অজয় নদীর পারে
দিনশেষে হাট ভেঙে যায়।

দিবসের অবসানে সূর্য পশ্চিমের পানে
দিগন্তে আলো ছড়ায়,
সাঁঝের আঁধার হয় লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কয়
লিখে কবি তাঁর কবিতায়।