ফাগুনে ফুল ফুটে.... গগনে রবি উঠে
ফাগুনের কবিতা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ফুটে কত ফুল গোলাপ বকুল
বসন্তের আগমনে,
ফুটিল শিমূল পলাশের ফুল
পলাশের বনে বনে।
এসেছে ফাগুন হৃদয়ে আগুন
দেহে মনে রং লাগে,
আম্রতরু শাখে কোকিলেরা ডাকে
প্রভাত পাখিরা জাগে।
যত ফুলকলি ফুটিল সকলি
ধেয়ে আসে অলিদল,
বাজে বাঁশি সুরে শালবন দূরে
কারা বাজায় মাদল।
আম্র তরুশাখে কোকিলের ডাকে
পুলক জাগায় মনে,
অরুণ হেসেছে কুসুম ফুটেছে
ফুল ফুটে ফুলবনে।
ফুটে ফুলকলি গুঞ্জরিয়া অলি
আসে মধু আহরণে,
ফুটেছে বকুল পলাশ শিমূল
বসন্তের আগমনে।
বসন্ত বাতাসে শুধু ভেসে আসে
নব বসন্তের গান,
আম্রের শাখায় কোকিলেরা গায়
পুলকিত হয় প্রাণ।
অজয়ের চরে সারাদিন ধরে
শালিকেরা করে খেলা,
অজয়ের ঘাটে সূর্য বসে পাটে
পড়ে আসে যবে বেলা।
গাঁয়ের বধূরা রাঙাশাড়ি পরা
জল নিয়ে যায় ঘরে,
ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ কাব্য অনুপম
লিখে কবিতার পরে।