কার্তিকের ধানের খেতে খেতে ভরে আছে সোনা ধান। এসেছে সোনা ধানে নতুন শীষ। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ ভাসে বাতাসে। মাটির গন্ধে পরাণ পাগল করে। নবান্নের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। ঘরে ঘরে নতুন ধানের খই, চিড়া ভাজা আর ঢেকির শব্দে মেতে ওঠে সারা গাঁ। সারা গাঁয়ের চাষীরা সবাই সারাদিন মাঠে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। ধান কাটা, আঁটি বাঁধা অনেক কাজ। বিরাম নেই। চলে সারাদিনের সংগ্রাম। শেষ হয় সূর্য যখন পশ্চিমে ঢলে। তারপর নামে সাঁঝের আঁধার।জোনাকিরা দিঘির গাছে গাছে জ্বলতে থাকে। অনেক পরে আকাশে চাঁদ ওঠে। চাঁদের আলোয় গাঁয়ের ছবি ফুটে ওঠে। মধ্যরাতে বাগদী পাড়ার মাঠে শেয়াল ডাকে। পথের কুকুরগুলো অবিরাম ঘেউ ঘেউ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পূবের আকাশ রাঙা হয়ে আসে। আসে নতুন আলো, আসে নতুন সকাল, ……………নতুন দিন, খুশির দিন, নবান্নের দিন।
কার্তিকে ধানের খেতে......... নবান্নের ধান
ধান কাটার গান (অষ্টম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
কুয়াশামাখা মেঘের থেকে
হিম পড়ে কচি ঘাসে,
সোনাধানে খেত ভরে আছে
রাঙা পথের দুপাশে।
চাষীরা কাটে মাঠের ধান,
মাটির সুরে বাউল গান,
একতারায় জুড়েছে তান,
সেই সুর ভেসে আসে।
কুয়াশামাখা মেঘের থেকে
হিম পড়ে কচি ঘাসে।
প্রভাত পাখিরা গাছে গাছে
গীত গায় ও খুশিতে নাচে,
পুলক জাগে ধরার মাঝে,
ওঠে রবি পূবাকাশে।
কুয়াশামাখা মেঘের থেকে
হিম পড়ে কচি ঘাসে।
আলোয় ভরা ভুবন পরে
দিঘির জলে কিরণ ঝরে,
ফুলের গন্ধে হৃদয় ভরে,
ফুল বাগানের পাশে।