কার্তিকে ধানের খেতে......... নবান্নের ধান    
ধান কাটার গান (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কার্তিকে ধানের খেতে সমীরণ উঠে মেতে
আলে বসে থাকে ফিঙে পাখি,
মাঠভরা সোনাধান শুনি সমধুর গান
প্রভাত পাখিরা উঠে ডাকি।

রাঙাপথে দুইধারে তালগাছ সারে সারে
বামে তার আছে ছোট দিঘি,
প্রভাত পাখিরা জাগে হিমের পরশ লাগে
রোদে জল করে ঝিকিমিকি।

ছাড়িয়া পূবের মাঠ সোজা অজয়ের ঘাট
নদী তার সুশীতল জল,
অজয়ের নদীচরে সোনালী কিরণ ঝরে
শালিকেরা করে কোলাহল।

চাষীসব মাঠে মাঠে সারাদিন ধান কাটে।
মাঠে মাঠে কাটে সারাবেলা,
সূর্য ডুবে পশ্চিমেতে নবান্নের ধানখেতে
সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।

হলে সাঁঝের সময় মন্দিরে আরতি হয়।
সুনীল আকাশে তারা ফুটে,
সাঁঝের আঁধার নামে আমাদের এই গ্রামে
পূরব গগনে চাঁদ উঠে।

রাতি কাটে ভোর হয় অজয় তটিনী বয়
প্রভাতে বৈরাগী গায় গান,
শীতল সমীর বয় নতুন প্রভাত হয়
লিখে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।