দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা খ্যাত চরাচরে,
বিশ্বমাঝে বিশ্বকর্মা পূজে সর্বনরে।
কল কারখানা, খনি, শিল্প প্রতিষ্ঠানে,
সর্বত্রই তাঁর পূজা দেবশিল্পী জ্ঞানে।
বিশ্বসেরা শিল্পকর্মে তুমি রূপকার,
বিশ্বজুড়ে শিল্পকর্মে তব অধিকার।
জয় জয় বিশ্বকর্মা বিশ্বের স্থপতি,
শিল্পকর্মে তুমি দেব সুনিপুন অতি।
গজারূঢ় তুমি দেব বিশ্বকর্মা নাম,
অপরূপ সৃষ্টি তব পূণ্য স্বর্গধাম।
অপার মহিমা তব ব্যাপ্ত চরাচরে,
বিশ্ববাসী সকলেই পূজে ভক্তিভরে।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা শিল্পের আধার,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি কবিতায় তার।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র —
পুষ্পাঞ্জলি নিয়ম – চন্দন নিয়ে প্রত্যেকের কপালে ফোটা নেবেন তারপর প্রথমে আচমন করে নেবেন। বাম হাতে জল নিয়ে ডান হাতের সমস্ত আঙুল দিয়ে ঐ জল মুখে ছিটা দেবেন আর মন্ত্র বলবেন “নমঃ শ্রী বিষ্ণু, নমঃ শ্রী বিষ্ণু, নমঃ শ্রী বিষ্ণু” এই ভাবে তিনবার করবেন। তারপর দু হাত জোর করে অপবিত্র পাঠ করবেন ও বিষ্ণু স্মরণ করবেন।
অপবিত্র পাঠ – অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সৰ্ব্বাবস্থাং গতোঽপি বা। যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তর শুচিঃ ।।
বিষ্ণু স্মরণ – নমঃ মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব হৃদি । মাধব স্মরন্তি সাধব সর্ব কার্যেষু শ্রী মাধব শ্রী মাধব শ্রী মাধবায় নমঃ।। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন)
এরপর ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে করজোরে নিচের মন্ত্রগুলি পাঠ করবেন।
দেবশিল্পীন্ মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধকঃ।
পূজাং গৃহাণ বিধিবৎ কল্যাণং কুরু মে সদা৷৷ ১ ৷৷
প্রনাম করে বিশ্বকর্মার চরণে বা ঘটে বিশ্বকর্মার পুষ্পাঞ্জলি দিবেন, তারপর আবার ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে হাতজোড় করে দ্বিতীয় মন্ত্রটি পাঠ করবেন।
আয়ুৰ্যশঃ বলং দেহি শিল্পে দেহি শুভাং মতি।
ধনং দেহি যশো দেহি বিশ্বকৰ্ম্মণ প্রসীদ মে৷৷ ২৷৷
আবার প্রনাম করে বিশ্বকর্মার চরণে বা ঘটে পুষ্পাঞ্জলি দিবেন, তারপর আবার ফুলচন্দন দূর্বা তুলসী পাতা বেলপাতা হাতে করে নিয়ে হাতজোড় করে তৃতীয় মন্ত্রটি পাঠ করবেন।
শিল্পাচার্য্যং নমস্তুভ্যং নানালঙ্কার ভূষিতম্।
মম বিঘ্নবিনাশায় কল্যাণং কুরু মে সদা ৷৷ ৩৷৷