দেবীপক্ষের সূচনা হয় আশ্বিন শুক্লপক্ষের অমাবস্যার দিন; সেদিন মহালয়া। আর দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিনে কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপূজার মধ্যে দিয়ে।
ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন সপ্তমীতে মূতির প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অষ্টমী ও নবমীতে মহাপূজা ও দশমীতে দেবীর বিসর্জন। এই পূজার বিশেষত্ব হল সন্ধিপূজা অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষনে সন্ধিপূজা।
শারদীয়া দুর্গাপূজা জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন। তাই বাংলা কবিতা আসরের সকল কবি ও সহৃদয় পাঠকবৃন্দকে জানাই শারদীয়া দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতার জয় হোক,
কবিগণের জয় হোক। জয়গুরু!!!
মহাশক্তির আরাধনা ......... দেবী বন্দনা
শ্রী শ্রী মহাসপ্তমী পূজা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মহা সপ্তমীর পূজা বিখ্যাত জগতে,
সপ্তমী বিহিত পূজা হয় বিধি মতে।
অজয় নদীর ঘাটে প্রভাত সময়ে,
স্নান করি সকলেই চলে দোলা লয়ে।
শঙ্খ, ঘণ্টা, ধূপ, দীপ বরণের ডালা,
দেবীর সম্মুখে শোভে প্রসাদের থালা।
পূজান্তে প্রসাদ ভোগ হয় বিতরণ,
মহানন্দে করে সবে প্রসাদ ভক্ষণ।
সন্ধ্যায় ধুনুচি নাচ ঢাক ঢোল বাজে,
ঢাকীরা বাজায় ঢাক সকলেই নাচে।
ধন্য ধন্য দুর্গাপূজা আলোর বাহার,
পুলকে হৃদয় নাচে আজি সবাকার।
পূজায় খুশির দিনে হরষিত মন,
মণ্ডপেতে নৃত্য করে সব শিশুগণ।
মহা সপ্তমীর পূজা হল সমাপন,
সপ্তমীর কাব্য লিখে ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।