আজ কার্তিক মাসের সংক্রান্তি, এই দিনেই হয় কার্তিক পূজা হয়। বাংলার ঘরে ঘরে এই দিন পূজিত হন দেব সেনাপতি তবে এখানে তিনি ঘরের ছেলে, মা দুর্গা ও দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র কার্তিক। কথিত আছে কার্তিকের আরাধনা করলে ঘরে পুত্র সন্তান লাভ হয়, সেই সঙ্গে ঘরে ধন সম্পদের বৃদ্ধি হয়, সংসারের উন্নতি হয়। কার্তিকের আরাধনায় যশ ও বল প্রাপ্তি হয়।কার্তিককে কিন্তু অনেকে মঙ্গলের কারক মনে করেন। তাই কার্তিকের আরাধনায় মঙ্গলের অশুভ প্রভাব দূর হয়।
কার্তিক একজন পৌরাণিক দেবতা। তিনি ভগবান শিব ও মা দুর্গার পুত্র। দেবতা কার্তিক অত্যন্ত সুন্দর, সুঠাম দেহ এবং অসীম শক্তির অধিকারী। পুরাণে আছে, তারকাসুরের আধিপত্য থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধার করার জন্য স্বর্গের দেবতারা তাঁকে সেনাপতিরূপে বরণ করেন। তাঁর দেহবর্ণ তপ্ত স্বর্ণের মতো। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে কার্তিকের হাতে তীর, ধনুক ও বল্লম দেখা যায়। তার বাহন সুদৃশ্য পাখি ময়ূর। কার্তিক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। এ সকল যুদ্ধে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। পুরাণ অনুসারে তারকাসুরকে বধ করার জন্য কার্তিকের জন্ম হয়েছিল। তিনি বলির পুত্র বাণাসুরকেও পরাজিত করেছিলেন। কার্তিকের অন্য নাম স্কন্দ, মহাসেন, কুমার গুহ ইত্যাদি। স্কন্দপুরাণে কার্তিককে নিয়ে রচনা করা হয়েছে।
দেব সেনাপতি কার্তিকেয় পূজা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আজিকে কার্তিক পূজা শুন সর্বজন,
দেব সেনাপতি যিনি ময়ূর বাহন।
কার্তিকের সংক্রান্তি পূণ্য দিবসে,
সকলেই করে পূজা মনের হরষে।
কার্তিকেয় মহাভাগ দৈত্য নিসূদন,
স্বর্ণ প্রভা অলঙ্কারে ভূষিত বদন।
রুদ্রপুত্র শক্তিপুত্র দেবী মহামায়া,
জন্ম দিলা বীরপুত্র দিয়ে পদছায়া।
মহাবীর পরাক্রান্ত দেবসেনাপতি,
বধিলা তারকাসুরে দানব দূর্মতি।
ময়ূরের পৃষ্ঠে চড়ি যুদ্ধ করে বীর,
বাণ নিক্ষেপনে কাটে অসুরের শির।
কার্তিক সংক্রান্তি দিন মহা ধূম হয়,
কার্তিক পূর্ণিমা বলি সকলেই কয়।
জয় জয় কার্তিকেয়, ময়ূর বাহন,
কার্তিকেয় গীতিকাব্য লিখিল লক্ষ্মণ।