ক্রিসমাস আগমনী ( মহান যীশুর শুভাগমন)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শুকনো পাতার মতো আরেকটি বছর আমাদের জীবন থেকে ঝরে যাবে। শুরু হবে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। গত বছরের সব সফলতা, আশীর্বাদ ও সুখ-আনন্দের জন্য পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিই। আমরা সকলে তাঁর প্রশংসা করি।

আমাদের ব্যর্থতা, পাপ-পঙ্কিলতা ও অবহেলার জন্য আমরা একে অন্যের কাছে ও সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের জন্য তাঁর কাছে আশীর্বাদ কামনা করি—বছরটা যেন আমাদের সবার জন্য সফল হয়। আমাদের প্রিয়জনদের নিয়ে আমরা যেন ভালো থাকতে পারি। নিরাপদে থাকতে পারি।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি যেন আমাদের সবার সমবেত প্রচেষ্টায় আরও সমৃদ্ধিশালী হয়ে ওঠে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আমরা যেন আমাদের মা-মাতৃভূমি ভারতবর্ষকে নিঃশর্তভাবে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারি। জাতীয় উন্নয়ণে সক্রিয় অবদান রাখতে পারি। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করতে পারি।

(Song of welcoming of Lord Jesus Christ)
(প্রভু যীশুর আগমন গীতি)

We are for the Lords
Not for others,
We are for the Lords
And so for others.

আমরা প্রভু যীশুর জন্য
অপরের জন্য নই।
আমরা প্রভু যীশুর জন্য
তাই সবার জন্যই।

(Arrival Stuti) (Song of Poem)
(আগমনী স্তুতি)

সদাপ্রভু যীশুতে যারা বিশ্বাস করে তারা মরে না
কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।

(Song of Poem)
(গীতি কবিতা)

কান পেতে ঐ শুনি
গীর্জায় ঘণ্টার ধ্বনি
ক্রিসমাস এসে গেল কাছে,

তিন দিন বাকি আর,
পুলকেতে সবাকার
হৃদয় আর মন তাই নাচে।

বড়ো দিনের ছুটিতে,
কেহ যায় পুরীতে,
কেহবা করে বিদেশে ভ্রমণ,

পঁচিশে ডিসেম্বরে,
পূর্ণ নব কলবরে,
প্রভু যীশুর ধরায় আগমন।

গীর্জার সম্মুখভাগে,
ক্রিসমাস ট্রি রাখে,
রাতে সেথা জ্বলে কত আলো,

এসো প্রভু ধরামাঝে,
নব রূপে নব সাজে
মুছে দাও জগতের যত কালো।

দেখো ওই গীর্জা ঘরে
ঘণ্টা বাজে মধুর স্বরে,
দিকে দিকে শুনি তাঁর আহ্বান।

হে প্রভু তুমি প্রেমময়,
ধর্মে যেন মম মতি হয়,
জয়গান গাহে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।